নীল গগনের সুনীল কমল
নোওয়ে পড়ে ধরার পানে।
অমরাপুরের কুসুম ধোয়া
একফোঁটা জল ঢেলে তুলি তুলে
রঙধনু আকাশের গায়ে।


সারাদিন আলোয় মেতে
মালা গেঁথে ফোটে সন্ধ্যে
ফুরে না সে চন্দ্ররেখা শশীকলা
মুখর সারারাত তারার মঞ্চে।
কোন হাতছাড়া স্বপ্ন ছুঁয়ায়
এমন একা দোলে পড়ে ঐ জোছনা
নিরবে নিভৃতে গাঁথা আঁধারী পুরে
সে কী চন্দ্রবিন্দু তার কী
হবে লয় ইস্রাফিলের প্রলয় সুরে।  


ঐ তাঁর প্রাণ সঞ্চারী
দোসরা তূরী বাজার আগে
অথৈ কাজল জলে তরঙ্গ লীলা বেয়ে
না বাজালো মুরালি মনের হরষে
ভর জলধি পুরে একফোটা জলে
নোওয়ে পড়ে তোমার তরে নিরিবিলি
রাতের আড়ালে এক রাতে
বহমান মাঝখান এক বিন্দুজল নদে।


তুমি যাই বল তাই লাগবে ভালো
নীরব কালে ফুটবে কন্ঠ
বাজবে বীণা বাতাসে লাগে দোলা  
অতল মহাশূন্যে তাইতো
জলধি বাসুঁড়ি না ফুকারে
রেখে দিল তোমার তরে
একটি গোল্ডেন রেসিও ইন্ভার্সের
মত বসে টিক তোমার ওপারে।

তুমি এক বাণী বলেই এলে
শূনালে জনম লগ্নে মায়ের
হৃদ স্পন্দন শূনার আগে
ওই ফুল্ল হৃদয় ভ্রমরা নিমিষে
ফিরে এলেন স্বর্গ বিহরে।
তবু ঐ এক মা বিনা কেহই না
মেঘমালার অন্তর্গৃহে উন্মুক্ত পথে
সন্ধ্যাকলি গেয়ে যাওয়া পাখিটিও
তোমার ঐ অমর কথা শূনতে পেলনা।
দেখলনা রাতের কাজল ফুলে ঝরে  
আলোজ্বলমল শিশির-চন্দা।


আকাশ জমি এক বৃত্তে টেনে
মিলিলনা সে পূর্ণ বৃত্তের পাই (Pi)
যেমন নিরেট সুষম তুমি এলে  
না তো মিলিল গোল্ডেন রেসিওয়ে
এক চিলতে নধর ফাঁকে।


এই দীঘল নিশির স্বর্ণালী কিনারে
এখনো রঙ ঝরে স্বপ্নীল রবি
উদয় কোণ মিলবে কবে?