নিশির মিম্বরে আজো জ্বলে একটি শিখা ঘরে ঘরে
মাতামহ মোর পাথেনি মাথা নিদ্রা-ডোরে
এখনো তাঁর দু নয়ন খোলা তোমায় দেখে
শুধু রাত জাগা তারার চোখে।


সেই কত কাল হলো চলে গেছেন আরেক
স্বপ্নদ্রষ্টা পিতামহ মোর না ফেরার দেশে।
আকাশের মজলিশে মিটি মিটি তারা
তুমি এখনো ছন্ন স্বপ্ন রজনীপুরে অধরা গহনে।
তাও'তো ফুটে ওঠে চন্দ্রলোকে চাঁদের গায়ে
স্বর্গীয় রাজ মহিষীর মসলিন কশিদা আঁচলের
কোমল কুহক কাজল ছায়া পড়ে।


রাতভর বিনিদ্র কতশত জীবন শিল্পী ভু বলয়ে
কেমনে শুইব তিমির আঁধারেও উন্নিদ্র মহিতলে।
যামিনী-লাইলীর কৃষ্ণ কেশ লীলা
মধুপ্রদ আলতো খুঁচা বিনে
আজো কোন ডুবুরির পরশ লাগেনি
যে অবিরল সুরমা কালো নদীটির তলে।
সে কি ঘোমট অপরূপ সৌন্দর্যের ছায়া পড়ে
উতাল তরঙ্গের ঢেউ খেলে এই কালো জলে?
হেরিয়া পূর্ণচন্দ্রমা পাতাল স্ফুরি
গহন ক্ষপার বক্কপুঞ্জে মধু গীতালীর
ভাটিয়ালি ভেলায় ভেসে অবধি নির্বাক অরবে
উচ্ছলিয়া বর্ষে চাঁদিনী তটিনীর অনচ্ছ পারে।


এখনো জোনাক জ্বলে কক্সবাজারে
আকাশী চন্দা আসিবে উতাল ছন্দীল সাগরে
সেই নিরন্তর মধুকথা একফালি স্বর্গীয় ছায়ারই
একটি জলছাপ রাখবে জিয়ে
আপনার সুকুমার কুঁচনে জলধি ভরে!


আকাশে পাতালে অমনি বিনি সুতার পয়মন্ত সন্ধি লগনে
আঁধারে উজল জাগ্রত মানসের শিহরে ঘুম কাড়া জমি
সেই জগতময় শ্রুতকীর্তি কা'বা দেশে ধরণীর মধ্যবিন্দু
কটিতে কুঠরি ভিঠাভূমির অবিকল বহু দেশী চাক্ষুষসাক্ষী
সাধুসন্তের বিড়ে প্রিয়তম একমুঠ মাটি
কবে আসবে সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ তুমি?