রাত্রিকাঁকালে যেন চন্দ্ররসে
ফোটা পদ্ম, পানোন্মত্ত দু্যতি।


জোছনা ধোঁয়া হরিৎ সকালে
পলাশ-শিমুলের ডালে ডালে আগুন ঝরা
ফাগুনের ফুলেল প্রীতিডোরে বাসন্তী
মধ্যবেলায় যেন জলন্ত সূর্যশিখা
খাঁটি অগ্নিস্পর্শী সতী।
সে তো নয় কোনো গ্রহ
কোনো গ্রহাণু এ দেশেরই মাটি।


এমন জীবন্ত পুরাকথা
পিন্ডারের কাব্যপাতায় তো মিলেনা
তবুও বলি পিথাগোরিয়ান উপপাদ্যে
সঙ্গীতময় গ্রহমালা একতারা না দুতারা
এখানে একটু কান পেতে শোন না।


ভবঘরের পান্থ তুমি যেই হও
চলার পথে এখানে যদি কখনো
মিলে তোমার দিনের শেষ প্রান্থ।
সন্ধ্যাতারার ষৎ ভিজা প্রভা
ঝরে কি বা না ললাটকোণে তব
এখানে একটু দাড়াও তো।


দেখনা এখানে যে কুয়াকাটার জলবৃত্তে
সারা দিন জ্বলে ডুব দেয় রবি শান্ত চিত্তে।
অনন্ত নীলিমার বুকে ডেউ খেলে
নিখিল গ্রহ গ্রহাণু সাঁতার কেটে
অপার ছন্দে এক আজব বৃত্তমিলে।
তাই ফির উদয় হয় সোনার রবি
নিত্যনতুন জ্যান্ত এই একই জলে।


এমনি নয়াজলে ঝর ঝর অপরূপ বিভঙ্গে
স্বপ্নের বাংলাদেশ তুমি আসবে কবে?