সিন্ধুপুরের বাদল টুঠে গগনে
দেখেছি কত ফুল-মল্লিকার
মধুবর্ষী হাসি ফুটে বারিজলে।
এবার ছিলনা কোনো সুর কারো জবানে
গায়নি কোনো পাখি ফুলবনে
যেদিন তুমি এলে অশ্রুভরা নয়নে!


সত্য বড় কটিন রে
তাই বুজি মোড়-মোড়ে হাড়ে।
এযাবত আমি খাব দেখেছি চোখ মিশে
আকাশের তারায়, তারায়
সময় হলো একি দেখি কড়ে কণা
ধোলাও তো নাই মোর পায়ের তলায়।


এমনি সর্বহারা সময়ে সুজন এলে প্রাণে
তোমায় দেখি দাড়িয়ে আছ সামনে
ঝরঝর আবেহায়াত জল ভরা চোখে
সেদিন যে তুমি এলে অশ্রুভরা নয়নে!


প্রান্তছাড়া বৃস্তর ছায়াপথের ওপারে
হনহনে কত হুরী ছুটে বেড়ায় মধুবহুলা
জান্নাতী মদিরা-নহর ঘাটে
ভবঘর মুখী এমন কার পদধ্বনি শুনে
আকাশজুড়া বাঁধন কাজলকেশীডোর
নাই কোনো চিড় কোনো নিদ কারো চোখে
সারারাত বহাল মজলিস অযুত তারা জ্বলে।


কে তবে দেখেছে কবে কার ছায়া তলে
নিশীভর দিশারী পূর্ণশশী এমন মোহন ফুটে
সে কথা তোমার চে ভালো আর কে জানে
সেদিন যে তুমি এলে অশ্রুভরা নয়নে!


কবে কোন আঁধার গোরে
কোন অচেনা অজানা গহনে
হারিয়ে যেতাম আমি কেইবা জানে।
আমি দেখি রোদ আঁকে রঙধনু তোমার দিকে
শুকনো পাতা এক ফোঁটা মেঘও নেই আকাশে,
এলে শুধু ভাসিয়ে নয়ন জলে
মিলিয়ে দিলে তুমি মোরে আপন হারা আমারে
ওগো সেদিন যে তুমি এলে অশ্রুভরা নয়নে!