বিপ্লবী
চে গুয়েভারা
আমি যখন
সদ্য প্রসূত
সূর্যের আলোর
ছোঁয়ায় প্রস্ফুটিত
এক সৌম্য শিশু ,
তখন তুমি
বলিভিয়ার জঙ্গলে
এম টু কারবাইন কাঁধে
সমাজতন্ত্রের স্বপ্নে
বিভোর এক সৈনিক ।
যখন আমার রক্ত
সৃংগারিছে প্রসারিত বক্ষে
পৃথিবীর আলো আর হাওয়ায় ,
তখন তুমি
কষ্টে জর্জরিত বুকে ;
অথছ ইস্পাত কঠিন
এক রক্তাক্ত বিপ্লবী ।
মায়ের শিয়রে
স্তনের বোঁটা চুষে
আমি যখন পুলকিত
শক্তি বর্ধনে শরীরে ,
রক্ত আর ছেঁড়া কাপড়
নিংড়ে তখনো তুমি স্থির
ক্ষয়িষ্ণূ স্বপ্ন বুননে ।
তারপর
৯ই অক্টোবর ১৯৬৭ ।
তখন আমি মিষ্টি হেসে
হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে
বুক ভরে শ্বাস নিয়ে শান্ত ।
তখন তুমি
টেরনের ট্রিগারের
আওতায় বন্দী
এক আস্ফালিত সিংহ ।
যার বুলেটে বেরিয়ে
গেছে হাজার পাখির ঝাঁক-
আবৃত করতে
হাজার পৃথিবীর জরা
আর জির্ণতাকে ।
কম্পিত হাতে তখন আমি
তাকিয়ে মায়ের দিকে ;
আশা আর দোলাচলে
একটু দুগ্ধের আশায় ।