যুবকের মনোঘরে ঘন্টা বাজে ;
কে বা কখন এসেছিল ভিরু পায়ে লাজে ।
পবনেতে চুল ছিল মেঘ এলোমেলো
ডাগরিত চোখ ছিল যেন ছলমলো ।
ধনুমাখা শরীরেতে যেন তীর ছোটে
কাঁপা ঠোঁটে যেন তার ফুল যে ফোটে ।
খলখল হাসি যেন বুক যে কাঁপে ;
তখন আমি ভাবি তাহা যেন পরিতাপে ।
ঘন ঘন এসেছিল মোর হৃদ মাঝে ,
যুবকের মনোঘরে ঘন্টা বাজে ।
ঝলমলো প্রাণ খুলে হেসেছে কখন ?
চাঁদ যেন উঠেছিল আকাশে তখন ।
সরোবরে মিলেমিশে হলো একাকার
মোর পানে ভীরু লাজে চাহে বারবার ।
তখন তো সুর ছিল কন্ঠ মাঝে
দিকে দিকে সে সুর পবনে বাজে ।
অলিগলি সব খুঁজে পাইনি তারে ;
ঘন্টার শেষ ধ্বনি বাজে বারেবারে ।
মন তবু চায় তারে প্রতি পলেপলে
খুঁজে ফিরি তাই তারে ক্ষীতি আর জলে ।