২০।
শৈশব
---------
চোখ বুঝলেই ভরদুপুরেও স্বপ্নে ভাসে আহা
রঙ্গিন সেই দিনগুলো কই হারিয়ে গেলো বলনা।
আগুন ঝরায় মনের ভেতর শাদা শাদা পাখনা মেলে
চোখ বুজে আয় দেখবো তারে একই সাথে চলনা।
সেই সে নদী উদাস আকাশ মেঘ পাহাড়ের গায়
এ মন আমার বাঊরী খেলে হারিয়ে যেতে চায়।


২১।
নীতির দৈন্যতা
-------------
এই দৈন্যতা আর কতোকাল চলবে
নীতির সংকটে ভুগবে এই সমাজ ও সভ্যতা
কত প্রাণ ঝরে যাবে অকাতরে সকাল থেকে সন্ধ্যা
কর্পোরেট এই সময়ে বুঝি মানুষ মূল্যহীন।
সততা চাই সততা-প্রতি ক্ষেত্রে চাই দ্রোহের প্রজ্জ্বলন,
যদি থাকতো-উড়ান ডানা ভেঙ্গে মরতো না পঞ্চাশটি প্রাণ।


২২।
মহুয়ার ঘ্রাণ
---------
নিরব এই চিত্তে যত মৃত কবিতার আস্তাবল,
ক্ষরণে দহনে পুড়ে অবিরত ঝরে চোখের জল।
সামগ্রিক প্রেম বিষ্ময়ে বিহ্বল-আরোও বিষন্নতর,
বোহেমিয়ান স্বপ্ন ভেঙে গুড়োগুড়ো যেন তাসের ঘর ।
তবুও নতমুখী-ক্ষত সমূদ্রজলে অবারিত স্নান,
বেলা শেষে খেলা ফুরালে খোঁজাখুঁজি মহুয়ার ঘ্রাণ।


২৩।
চৈতি কাব্য
-------------
চৈতি মাসের পয়লা এলো ফাগুন গেলো চলে,
লুকিয়ে থাকা কোকিলগুলো এখন কথা বলে।
কুহু-কুহু-কুহু ডাকে বন-বাঁদাড়ের আড়ে,
ভালোবাসার সুরে মাতায় উদাস দুপুরটারে।
কেন তুমি ঘুমিয়ে আছ একটু জেগে দেখো,
ফাগুন গেলে চৈত্র আসে একটু মনে রেখো।