কার্তিকের রোদ পড়ে এলে কাঁচা সবজিতে ভরে যাবে মাঠ । শিশিরস্নাত দূর্বাঘাসের ডগায় কাঁচা রোদের ঝিলিমিলি। ভেজা বাতাসে রেনুর ঘ্রাণে নেচে উঠবে বুক । আদুরে আকাশ
জুড়ে উড়বে গাংচিল-বকের ঠোঁটে পুঁটিমাছ নড়ে উঠবে সহসা।


ছিন্নস্বপ্ন নিয়ে হাটে যাবে পরহেজগার ইব্রাহিম মোড়ল-ব্যাগভর্তি  নিয়ে আসবে নতুন আলু কচুর লতি ছিম সাথে মৌরলা মাছ। ঝোল করে রান্না হলে-গরম ভাতের সাথে হাত চেটেপুটে খাবে পরিজন। ঘর গিন্নির আনন্দে হেসে উঠবে কাব্যিক শীতালী দুপুর।


হিমহিম গোধুলী বিকেলে হেমন্তের ধানকাটা খালি মাঠের ধারে হাঁটতে হাঁটতে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে-হুতুমপেঁচা আর বাদুরের ডানা ঝাপটানোর শব্দে ভয় ভয় বুকে ফিরে এলে নিঝুম খড়ের কুটিরে কুপি বাতির নিম আলোয় শুয়ে শুয়ে দেখা জানলার ফাঁক গলে আসা রাতের স্নিগ্ধ জ্যোস্নার আলো। আহা এমনি জীবন কী মধুময় অমৃত যেনো শিমুল কাঁথার ওম ।  


দোল বাংলার সবুজ বুকে মটরশুটি স্বপ্ন দেখার সাধ যেন কোনদিন শেষ হবার নয়। ফিরে ফিরে আসা তাই যতো দূরে যাই কবিতা সুগন্ধি মেখে নয়ন কিনারে কেটে যাক পুরোটা জনম।