তুমি কেবল তোমার পঙ্কতি মেলে ধরো
আমি নিঃস্ব হয়ে জলাঞ্জলি দেবো গাঁয়ের সুঁতা সমগ্র
পৌত্রিক স্থাবর রেহেন দিয়ে পোষ্ট-অফিসের কাছে
কাশীবাসী হবো-ভাওয়াল জঙ্গলে নেবো যোগাসন।


লম্বা দাড়ি আর জটাচুলে ঘুরে বেড়াব বিস্তীর্ণ শহর
কঁচি-কাঁচাদের লোষ্ঠ্রাঘাতে কপাল ফেটে চিরিক দিয়ে
বেরিয়ে আসা তাজা রক্ত রোদে শুকাব
তেষট্রিদিন না খেয়ে করবো সুখোপবাস
টিএসসির মোড়ে দাড়িয়ে হবো বিবাগী কবি
শহুরে কাকেদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে গাইবো বিবাগী সঙ্গীত।
----------বন পুড়লে পানিতে নেভানো যায়
              মন পুড়লে পানিতে নেভানো দায়
              হৃদয়ে যে আগুন জ্বলছে অন্তবিহীন
              তুমি ছাড়া তার কে করে উপায়।
তুমি কেবল তোমার পঙ্কতি মেলে ধরো,
আমি বসন্তকে দিয়ে দেবো চির  বিদায়,
তোমার সমূদ্র জলে স্নান করে সর্দিজ্বরে ভুগে
জনম জনম পড়ে রবো বিছানায়,
তবু জোটে যদি মোটে তোমার সোনার হাতের
একটি কাপ চা প্রচন্ড তিয়াশায়,
কিংবা তার চেয়ে আর একটু বেশী
এ পোড়ামন ফিরে পাবে সহজিয়া প্রাণ
একফালি নরম ঠোঁটের স্বপ্নীল ছোঁয়ায়।


তুমি কেবল তোমার পঙ্কতি মেলে ধরো
উন্মনা হবো-নিবিষ্ট হবো কঠোর সাধনায়
তোমার ধ্যানে-জ্ঞাণে পেলব একাগ্রতায়
রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে,
                         পাহাড়ে পর্বতে অস্থির দঙ্গলে,
পথ চেয়ে কাটিয়ে দেবো জনম তোমার অপেক্ষায়।