খসড়া প্রেম
২৫.
প্রত্যাশার কাছে আমি নতজানু হতে পারি
কিন্তু যাকে আমি ভালোবাসি তার প্রত্যাখ্যানের কাছে নয়
২৬.
বিস্বাস ভাঙ্গার আগে নি:শ্বাসে হাত রেখো,
অপ্রাপ্যের ছিলো যা আলো - আঁধারির মতো প্রিয়,
সে আমার-সব তুমি ক্ষমা করো মৃন্ময়ী,
কেবল তোমার বুকের ভাঁজে আমায় কবর দিও।
২৮.
অনুরাগে যখন তুমি ডাকলে-হাসি দিলে মিষ্টি,
মনের ভেতর উঠল ঝর-নামল তুমুল বৃষ্টি।
মনে হলো এ বিধাতার কী অপরূপ সৃষ্টি,
তোমার প্রতি চেয়ে আমার ঝাপসা হলো দৃষ্টি ।।
২৯.
তুমি কখন হৃদয়ের দুয়ারে দাড়ালে
পারিনিতো বুঝতে,
ভরা বর্ষার জল ছুঁয়ে গেলো তোমার
এলোচুল,
ধুয়ে গেলো তোমার সোনার অঙ্গখানি,
আমি পারিনিতো তোমার চোখের জলটুকু মুছতে।
৩০.
তুমি কোন শ্রাবনের সন্ধ্যাতারা?
প্রথম কথায় হাসলে রাশি রাশি;
হৃদয়ে ঝরে সুখের অঝোর ধারা,
কি করে বলি তোমায় ভালোবাসি।
৩১.
মধ্যমায় তোমাতে জ্বেলেছিলাম যে আগুন,
জল ঢেলেও নেভাতে পারিনি তা, জ্বলছে দ্বিগুন;
জলে তোমার পিপাসা বেড়ে যায় আরও বহুগুন,
আমি ক্লান্ত নিরুত্তর-পরিশ্রান্ত এ যৌবন ফাগুন।
৩২.
জীবনের বৃত্তসীমায় কলবয় আমি শুধু,
অজানা এক মক্ষিকা নিয়ে গেছে মধু,
তার হলদে বুকে আঁকতে পারিনি ছবি,
আমার এখানে অন্ধকার তার ওখানে রবি।