মানুষের মৃত্যু হয়
যুদ্ধ, গোলাবারুদ নয়
কখনো অতি নগণ্য কারণে-
মৃত্যু খুবই তুচ্ছ এখানে-
অথবা তুচ্ছ নয়
হয়তো কেবল
অচ্ছুৎয়ের মৃত্যুই ভাবানোর নয়।


অচ্ছুৎয়ের মৃত্যুতে
কেউ শোকাহত নয়
নেই কারো তীব্র নিন্দার ঝড়।
অচ্ছুৎয়ের মৃত্যুতে
দাগে না কামান-
চড়েনা কফিনে লাল সবুজের রঙ
মাটিতে ঠেকে না সৈনিকের জোরালো পদাঘাত।


শোকে পড়ে না কেউ কালো কাফনের থান-
নেই শোকসভা- নেই কোন টক শো- অচ্ছুৎদেরও নেই
কোন জ্বালাময়ী প্রতিবাদ; নেই মোমের মিছিল।
নেই প্রিয়জনের হাহাকার, নেই আহাজারি- আর্তনাদ
কেবল নেই- নেই- নেই- আর নেই।


ঠুলি পড়া তিরিশ কোটি চোখে
নেই কোন অচ্ছুৎয়ের লাশ-
চোখে এঁটে নেয়া নির্লিপ্ততার রঙিন কাঁচ।
তারপর- মরা ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজে
বুঁদ হয়ে থাকে; উন্নয়নের নেশায়।
চলে মচ্ছব অলিতে-গলিতে-প্রাসাদে- সবখানে
কি আসে যায়- কোন এক অচ্ছুৎয়ের মৃত্যুতে।


তবুও সহস্র কোটি বছর ধরে কোন এক অচ্ছুৎয়ের লাশ
পড়ে থাকে নির্বিকার- কোন এক রাস্তার ধারে।