দরজার ওপারে ছিল
একটা সবুজ মাঠ,
হিমেল হাওয়ার ঢেউয়ে
ঘাসের কাঁপন।
লোকটা তবু একবারও ছুঁয়ে দেখেনি
জং ধরা হাতলটা।
সে বরং তলা চাবি খুঁজেছে
ঘরের প্রতিটি ভাঁজে,
খুঁজেছে বন্ধ আলমারির ভেতর
কাগজপত্রের স্তূপে,
গাদাগাদি করে রাখা
অপ্রয়োজনীয় স্মৃতির ভিড়ে।
অথচ, দরজাটা অর্ধেক ভেজানো,
একটু ঠেললেই খুলে যেত—
সেখানে ছিল মেঘে ঢাকা একটি নদী,
স্নিগ্ধ পাখির ডানা,
এক টুকরো রোদে বসে
চুপচাপ হারিয়ে যাওয়ার শান্তি।
লোকটা জানলই না!
তার হাতের নাগালেই ছিল
বেঁচে থাকার রসদ
অথচ সে খুঁজল
তালা চাবি
নিজেরই গড়ে তোলা চার দেয়ালের ভেতর।