তার ইশারায়, একদিন
নিজের বিপরীত দিকে হাঁটতে শুরু করলাম।
বৃত্ত নয়—
এক অপরিচিত রেখাপথ,
যার পাশে সবকিছুই অচেনা।
এখানে সব উল্টো—
পায়ের নিচে নেই মাটি,
দিগন্তের গায়ে ঝুলে নেই আকাশ,
আর জলের আয়নায় আমার মুখ নয়—
দাঁড়িয়ে থাকে, আমি-হয়ে-ওঠা
অন্য এক সত্তা।
সে আমার নাম নেয় না,
আমার মতো হেঁটে চলে না,
তবু—
না-বলা প্রতিটি শব্দ
জেনে ফেলে নির্ভুলভাবে, নিঃশব্দে।
এখন আমি তারই অনুগামী,
তাকে অনুসরণ করি—
সে পোড়ে না,
আমিই দগ্ধ হই,
তবু আটকে থাকি
মিরিচের মায়াপথে।
এ এক নীরব কালবেলা—
নিজেকে ছুঁতে গেলেই
হারিয়ে যাই কুয়াশায়।
“আমি কি আদৌ আছি,
নাকি আমি কেবলই এক লক্ষ্যভ্রষ্ট
সন্মোহিত মানুষ?”
কবিতাটি ফ্রয়েডীয় ‘id–ego–superego’ দ্বন্দ্ব, বা ল্যাকানীয় ‘অন্য আমি’র ধারণা নিয়ে লেখা ৷ 04/05/25