কাব্য "বিষফুল" এক ধর্মের নামে আস্ফালন ধর্মী ,- সামাজিক চিত্র । প্রজ্ঞাবান কবির কলমে প্রতি ছত্রে ছত্রে ধর্মীয়, সামাজিক ভাব, স্পষ্ট ভাবে তার জ্ঞানোদয় হয়ে-সুন্দর ফুটে উঠেছে । আমরা অতীতের অনেক দূষিত ব্যবস্থার জালে ফেঁসে আছি । বর্তমান যুগে তা মানায় না ।


"প্রেত গোষ্টীর দখল মূলে ......
...............-তাদেরই বিষফুল।"


ঐ সব ব্যবস্থার গোপন বিন্দু ছিল শোষণ !
সে সুগন্ধি ফুল বলে প্রচারিত হয়- আসলে তা “বিষফুল” ,একদা হয়ে দাঁড়ায় ।
ছলবাজ তাঁরা- নানা অছিলায় এ বর্ণ ব্যবস্থায় নিজেরে বড়ো গর্ব বোধ করে ।


"জাত ভেদাভেদ গলার হার
যুগের আভিজাত্য
জাত জালিয়াৎ গ্রন্থ রাখে
ধর্মে সাজিয়ে নিত্য!"


কত স্পষ্ট কথা অকাজের জিনিস -ব্যবস্থা, ধর্মে কত মহত্ব দেওয়া হয় ।
পরে আরও বলেছেন -----


"দুলিয়ে খুলি হিসাব কষে
গোটা শতাংশ
স্পর্ধা কার , কোন্ সে মানব
ধর্মে আনে ধ্বংস ?"


এমতঃ শক্ত শক্তিশালী ব্যবস্থা কার হিম্মত আছে সেথা আলোচনা করে ?


এ ভাবে সৎ সাহস দ্বারা এক অপশক্তির সাথে, সুন্দর উপমা-তুলনা করে, কাব্য বক্তব্য রেখেছেন ।
এ জ্ঞানবান কাব্য পাঠে বোঝা যায় এই আধুনিক যুগেও আমরা জাতপাতে সমাজ কত অসহায় । অথচ তাঁরা মানে- বর্ণবাদীরা সুযোগ পেলে এখনো কি ভাবে জনতাকে হানি করে ! তাও উপমায় বুঝিয়েছেন ।
সুন্দর ছন্দে এক সুবিচারের শিক্ষণীয় কাব্য ।
সমাজ জাগরণের পরাকাষ্ঠা ।
সর্বশেষ এমতঃ জ্ঞানবান কাব্য কবির কলমে আগে আরো আশা করি ।
শুভসন্ধ্যা , প্রবুদ্ধ প্রিয়কবিকে শুভেচ্ছা অশেষ ।