আমি লিখব ভবের রূপাকার বহির্বিশ্ব
সহিষ্ণু মানবতা নিয়ে তাঁরা হবে শিষ্য ,
অনুভবি, খরতাপ, ঝঞ্ঝাঝড়, প্রলয়
সর্ব বিপদে যাঁদের মাথা নতঃ নয় ;
প্রবল চাহ-আগ্রহ জাগ্রতে, সুসংস্কার -
এ বিশ্বকে মানে তাঁরা সাচ্চা সংসার ৷


খল তার সংস্কারে রাখে না খেয়াল ,
বৃদ্ধ-মাতা পিতাকে ভাবে জঞ্জাল ;
আত্মায় ঘোর মসি, জীবন সর্বনাশ -
তাই ক্ষুন্ন করা গুরুদের সম্মান-যশ ।
বুকে বাজে হতাশা রুদ্ধ হয় নিশ্বাস
মন- অনুতাপে দগ্ধ , বারটি মাস ।


ন্যায়ধর্মী দৃষ্টি যাঁদের তীক্ষ্ণ ধারদার
এ লেখা তাঁর তরে উৎসর্গ-উপহার ৷
লিখব, আগামী প্রজনন্মের কথাকাব্য ,
প্রগতিশীল নববিচার, কর্ম ভবিতব্য ।
চিত্ত যাঁদের মুক্ত, ভয়শূন্য মুখর ;
ওঁরাাই সুমানব ধন্য সবার ঊপর ।


যাঁরা ধারা বয়ে চলে ক্ষয় নিবারণে ,
কর্তব্যে সদা ব্রতি ভবিষ্যৎ নির্মাণে ;
মঙ্গলার্থে জানাতে চাই সে মহানের ,
আনো বিপ্লব ! এ অভাগা সমাজের ৷


আমার করুণ- নম্র- দৃঢ় এ বারতা -
হেলায় জীবন আর নয়, না ক্ষয় বৃথা !
দেখ, হস্ত ইশারায় ঐ সু-সময় ডাকে –
ভাতিছে সে পলাশ রক্ত-রঙে, শাখে !


(ইং-০১-০৭-২০১৭)------ (সমাপ্ত)