কোন ধর্ম বিশেষ, চির শান্তির কারক নয় ,
ভরিলে ধরণীতে, যদিও একই সম্প্রদায় !
ধর্ম তার কাজে, সবারে ভরায় বিশ্বাস ,
পথ দেখায়, জ্বালা-যন্ত্রণা শোক-তাপ করিতে নাশ ৷
যদিও নানা ধর্মের প্রচলন, সমগ্র বিশ্বে
আবহমান কাল ধরে দেখি, প্রতিফলন জনমানসে ,
গুরু কতদূর পারে, সম্প্রদায় টানিতে ?
তারও বসত-বাটী ধরার এই মাটিতে ,
সে পারে কেবল সর্বোত্তম উপদেশ দানিতে
সে শুধু চায় ধর্ম গড়ে উঠুক, শক্ত ভিতে ৷


শঠতা,মূঢ়তা, হীন-নীচ, তুচ্ছ অপগুণ ,
সমাজের বুকে মহামারী রূপে ধরিলে ঘুণ;
সহস্র সুগন্ধী সাবানে, বহুবার ধুলে ,
সে শড়া-চপা দুর্গন্ধ, যাবে না সমূলে !
যতোই ধোও না কেন, পবিত্র গঙ্গাজলে ,
যাবে না, তার কুৎসিত রূপ কোন কালে !


সমাজ দৃঢ় বাঁধনে রাখা, কাজ নয় একা
ধর্মের বন্ধনে, সবটা হয় না পাকা ,
আছে দেশের আইন শৃঙ্খলা ,
মানাটা উচিত জনহিতে সবার বেলা ৷
যদি না ধরে সবে, সমাজে মনেতে উপায়
সর্বহিত কাজ, যাহা কিনা জীব মঙ্গলময় ,
মন-প্রাণ ন্যাস্ত করিলেই হবে, দুর্নীতি জয় ,
শান্তিকামী সমাজের হ’বে উদয় ৷


সম্প্রদায়পন্থী গুরুর যদি মাথায় আসে
অদূরদর্শী হয়ে কেবলি সে ভাবনা পোষে ,
কেবল সম্প্রদায়-হি, উপায় দুর্গতি নাশে-
ঐ বিচারক পৃষ্ঠ পোষক, সম্প্রদায়কে ভালবেসে
সে দেখে না ক্ষতিয়ে আরো, তার আশেপাশে ৷
বিপুল জনতা হয়তো হবে সেথায় প্রভাবিত
দূরগামী সমাধান হয় না, তবু উপনিত ;
কিছুলোক হয়তো হয়, ক্ষণিক মোহিত
কত বেঁচে থাকে ক্ষোভ, আগের তরে যত ,
সময়ে-অসময়ে সমাজে, তুলে ধরে তা’, ক্ষত !


যত দিন না সমাজে ব্যক্তি বিশেষ
একে অপরের না বুঝিবে ক্লেশ ?
যতই ধরুক না কেন ধার্মীক বেশ ,
কাজে পরকল্যাণে যার নেই নামমাত্র লেশ
গড়িতে পারে না সে বাঞ্ছিত পরিবেশ ,
অহরহ চেষ্টা করিলেও অশেষ !
হোক না কেন, সহস্র অজুত শুভআদেশ
বিনা আচারে ধর্মীয় উপদেশ
হোক না কেন, হৃদয়ে সমাবেশ ?
ভেদাভেদ, ছলছাতুরী, সবমিশে
স্বার্থ ভরা রয়, বিদ্বেষ বিষে ,
মুক্তি আসে না দোষে
শান্তি ফেরে না শেষে ৷ (ইং-১৪-০৩-২০১৬-সোমবার)
নিজ অপ্রকাশিত কবিতা গুগলে সার্চ দিন (Jiggasa.in)