সৃষ্টির ঊষা লগ্ন থেকে   
বর্ণ-ধ্বনি, বেশ-ভূষা ,            
জুগিয়েছে পূর্বজরা              
জ্ঞ়ান ভক্তি আশা ,              
আমরা দানিয়াছি বিশ্ব জনে
ভালবেসে সবারে মনে-প্রাণে  
অকাতরে বিশ্বে যোগাই ,                                              
প্রচুরতা ছিল তাই ৷
            
তখন ছিল দেওয়ার যতো        
দানে দিতাম ইচ্ছে মতো ,        
নিচ্ছি এখন সবার থেকে          
দু-হাতে আর কোচ্ছে ;            
নেবার বেলায় হা-হুতাশ          
শোধাবার নেই ইচ্ছে !
            
ঋণের পাহাড় মাথার উপর
নির্ঘাত যেন বজ্র ,
এমন ধারা কত আর চলে                      
নিয়ে শুধু কর্জ ?
এলো-পাতাড়ির অগ্রগতি
ঋণের জালে জঞ্জাল ,
বিদেশ থেকে ঋণে এসেছ
উদভট্ উচ্ছৃঙ্খল !
খাচ্ছি খাবি ঘূর্ণী জলে
সকাল থেকে সন্ধ্যে
অনল জ্বালা মাথায় পুষে
ঘুরছি হয়ে হন্যে ৷
         
বাঁচিছে যারা ঋণ শোধে নয়
ঋনের ঋণ দিয়ে-    
মরছে তারা নিঃস্ব হয়ে
কিছু, নিঃস্বার্থ দিতে যেয়ে ৷


আমরা কুঁজো ঋণের বোঝায়
বুঝাই কাকে আজ
সবার উপরে একই সত্য                                  
দেশে কম্পুটর রাজ ৷
যার ভাষায় স্বর গাহিছে
যার ভরসায় দেশ চলিছে
ব্যবস্থা সবই ঠিক ?
ঋণের আগুন জ্বলছে কষে
ভাবছি শুধু নিছক বসে
বাড়ছে যে ধিক-ধিক !
(ইং-২৫.০২.২০১৬-বৃহস্পতিবার)