মখমলে যার কাটে যৌবন
অঙ্গন ছিল যার নন্দন কানন ,
অকুত ঐশ্বর্যে ভরা যার ভবন
কী সে চিন্তা মনেতে সর্বক্ষণ ?
সদা জিজ্ঞাসু যার ছিল দু’নয়ন
উপায় খুঁজিতে জরা-ব্যাধি-মৃত্যুর কারণ !


তিনি ছাড়িয়া ভোগ, রাজ সুখ ,
কন্ঠে পরিয়া অসীম জ্বালাময় দুঃখ
কৃচ্ছ্র সাধনে কঠোর নিয়মে
বাস্তব জানিয়া হৃদয় মরমে ;
সমগ্র বিশ্বে ভরেন শান্তির সুবাস
সবারে দানিলেন চিরতরে মুক্তির বিশ্বাস ৷
অহিংসার মন্ত্র ভরিল ধরণী
এখনো শুনি তাঁর পদধ্বনি ,
সেই অমর গৌতম বুদ্ধের বাণী ,
জগদখ্যাত রত্ন দানেন মায়াদেবী জননী ৷


তবু কেন আজ, অধুনা বিশ্বমাঝ
দেখি সর্বত্র ভরিয়া সমাজ ;
দেখি জাগ্রত পুঃন, দেবদত্ত ,
সে জীব হত্যায় অতিব মত্ত !
বারবার সেই তীর আর ধনুর্বাণ
সদা করিছে শান্তি দূতের প্রতি তান ,
করিবে সে সবে খান-খান !
চারিদিকে জাগ্রত আর উদয়মান ৷


এবার কাঁদে “বিচারে বাণী” ,
পাপী দেবদত্ত, পাত্র হয় সম্মানী !
আজ তিনি বারুদে সহস্র ছিন্ন
সকলে দেখি হয়ে কৃতঘ্ন !
আপগানিস্তান, নিকট প্রমাণ
বারবার হন সেথায় হয়রান !
তাঁর বুকে পুঃনপুঃন বেঁধে তীর-
একাজ করে মাত্র কিছু পীর !
(ইং-04-05-2015-সোমবার)
(বমিয়ন নামক স্থানে বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙা হয়
প্রথম তাইবান ও জাপান বিরোধ দর্জ করে.)