ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা" তার অংশ- পর্ব সংখ্যা- ৫-৬ , (২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


ধোয়া তুলসীপাতা--৫


‘ভাবনা’, তাঁর দম্ভজ্ঞান
ভাবে, এই নিয়ম, সম্মান –
রাজকালে চাই নববেশ
আলোর ‘এিফলা’প্রদেশ
সবেতে রং ধরায় বিশেষ
মহাখুশী নিয়ে বাংলা প্রদেশ ।

সারদা নামে, কী যে....
সুনাম করিল ‘ভাবনা’ ?
সে ভাষায় বলা যাবে- না !
‘ভাবনা’ও কম যায় না ,
‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’ !
বলে, ‘বামের সব দোষ’ ।
ভাবে, আমি ধোয়া- তুলসী
কলঙ্ক শূন্য উজ্জ্বল শশী !
নাই ছাপ্পা, কোন কালি-মসী
‘ভাবনাকে’ পেয়ে জনতা খুশী ৷


আমার ‘পাতায়’আছে আঁটা
এখন যা ঘটে, ছোট-মোটা-
বামেরা করিছে, এটা-ওটা,
ওরা সব যত্তো নষ্টের কাঁটা !
সারদা আনিনি আদর করে-
এসেছে আমার আসার পরে
আমি যখন বাংলায় এলাম-
আস্থাভোটে- কুর্সি পেলাম ,
তারপরে বাংলার ঘরে-
বামের দোষে সারদা ভরে ,
এখন সারদা মানুষ মারে ।
ওরাই দায়ী, অবশেষে
যেমন তারা বাঘ পুষে
এ প্রদেশে দেয় ছেড়ে !
এসবে জড়ায় বামের নাম-
মানুষ দেখুক সেসব কাম ৷
কেউ দোষে না মোরে -
বাঘ যাতে আরো বাড়ে
সেই কাজটি করি সবুরে ,
দোষ পড়ুক বামের ঘাড়ে !
আমার চাই পয়সা
সারদা বড়ো ভরসা ।
তরতাজায় দেই তেলজল ,
বেড়ে উঠুক সে জ্বলজ্বল !


নিডর-৬


আমি নির্ভীক ‘ভাবনা’,
কাউকে ভয়-ডর করি না !
আমি,- দুর্গা,-সিংহবাহিনী
ক্ষণে-ক্ষণে দুর্গতি দায়ীনী !
আমার দু’হাতে দৈব অসি
এককোপে কাটি রাশি-রাশি
আমি যে অসুর পুষি !
ওদের সেবাযত্নে মহাখুশী ৷
আমার চারিপাশে দাঁড়ায় -
রাজদরবারে শোভা বাড়ায় !
কেন কর বৃথা রোস ,
এটা কী আমার দোষ ?
অসুর না হলে রাজ চলে ?
ওরা কাজের । ছলে-বলে ।
বোকা আমাকে ভেবো না-
আমার ভাল নাম ‘ভাবনা’!
কক্ষনো নুয়ে পড়ি না-
কাজে চিন্তাও করি না
ওসবের ধার ধারি না ?
সীমা আছে আমার ক্ষমতা
প্রদেশে কাজ না করে
রাতদিন পড়ে-পড়ে ,
বাড়াই চিন্তা অযথা–
গম্ভীর হয়ে কেন ভাব না ?
পাশে আছে নিডর ‘ভাবনা’ !
                     (ক্রমশঃ)
*- সারদা > মহাআর্থিক ঘোটালা সে "সারদা চিটফাণ্ড" ।
*-ত্রিফলা ফলক > রাস্তা পাশে তিনমাথা- আলোর খাম্বা ।