তুমি থাক সুউচ্চ রম্য আট্টালিকা ’পরে !
আমার কাটে কাল দাওয়ায় পড়ে-পড়ে ৷
তব আনাগোনা ভব্য অভিজাত জগতে ,
আমি দু’মুঠো অন্ন জোটাই পর জমিতে ৷


তুমি, হাত ডুবিয়ে মেটাও ক্ষুধা, হৃদে ,
দিন চলে সুখে, ঘৃত,মধু,দুধে,ভাতে !
আমার বেলায়, বেলা গড়ায়-নিয়ে খিদে ,
কষ্টে সময় কাটে, পেটে গামছা বেঁধে !


তুমি চড়ো সুসজ্জিত-বিদেশী গাড়ীতে ,
আমার ফোসকা পড়া পা, হেঁটে-হেঁটে !
তুমি থাক রসে মজে, নিত্য নবরঙ্গে -
আমি যে বেকার আজও, পুরো বঙ্গে !


তোমার অঢেল সময়ের সাথে অবগাহন-
মান না শ্রমের, কোন নিয়ম-অনুশাসন ৷
এদিকে মম মনে, আতঙ্ক আর ভয় ;
আগে না জানি, আরো কত কি দুঃসময় !


যদিও অনুভব তব, মলয় শীতল-বাতাস -
দেখিয়াছ স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় ভরা সে আকাশ ,
দেখনি দেশময়, মহামারী, ঝড়, বন্যা, চক্রবাত ;
যুদ্ধ, নরসংহার, দাঙ্গা ধর্ষণ- পৈশাচিক সংঘাত !


তবু কী দেখেছ ঐ, ঘরত্যাগী অভাগা গুলো ;
জান কী, ওদের শেষ পরিণতিটা কী হল ?
নিঃস্ব হাতে ভিটে মাটি ছাড়া তারা -
ওরা, কতো স্বজন, পুত্র, কন্যা, হারা !


তুমি কি শুনেছ, বুকফাটা- সে অনন্ত কান্না ?
জানি, শুধু দেখেছ, কেবলি হাসির বন্যা !
জান কি ,এতো ছলনা কেন ওদের জীবনে ?
কেন ? কোন দোষে ভোগে, কোন কারণে ?


নেই প্রয়োজন জানার ! এসব তুচ্ছ তর ;
রও, ধীর-স্থির, শূন্যচিন্তা, পড়ে নিজঘর  -
সেথায় নিবাস, পিঁড়ি দর পিঁড়ি যুগ ধরে ;
শান্তির স্থিতি তোমার, আপন- স্বর্গ- পরে- !!


(ইং-১১-১২-২০১৬)-