ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা" তার অংশ- পর্ব সংখ্যা-১৩-১৪ ,-(২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


কল্পনায় দিল্লী দর্শন-১৩


একদা বাংলায় আসে সে অরি
আমি তাঁরে দেখাই দড়ি !
দিল্লীতে পেলে দেবে না ছাড়ি
তাঁর শক্তি অপার, রাজত্বে
সব আইন,এখন তাঁরি আয়ত্তে
সে  যদি দেখায় ছড়ি !
যাবে আমার বাহাদুরী ।
আমি বীরাঙ্গনা, হারিতে মানা
আরো আছে কৌশল , জানা ।


আমি তথা, সাজিব নেকা
পাইলে হয় তাঁর দেখা ,
কথা হবে নিরিবিলি ফাঁকা –
বলি, আর দেব না ধোঁকা ,
আবদার করি,,ভালবাসা দাও
সঙ্গে পাশে বসাও ৷
এ রাজনীতির প্রেম-আশা -
গদি বাঁচানোর এ ভালবাসা ,
এটা- ভোটের ভাষা !


সে কিছু দেবে
আমার থেকে পুনঃ নেবে ,
মূল, রাজনীতির ধর্ম খাসা !
যখন অরি একা, বলি কথা
হয়ে যাক উভয়ে সমঝোতা ,
আমার থাক অন্ততঃ মাথা !
একা না বোকা, আমি-সেথা
হবে না অন্য কথা, অযথা ৷
আমি আজ অনাথ ,
যেন ঠুঁটো জগন্নাথ !


দিল্লী দরবার-১৪


মাথায় এসব চিন্তা সারা
আমি হই না দিশেহারা
সোজা চলি দিল্লীতে
দিল লাগাতে ,
যা-যা আগে ভাবি
ঠিক-ঠিক হল সবই ;
আমি কাজী, ছলিতে পাকা ,
এই ভরসায় করি দেখা ।


তাঁকে বলি বাড়াও হাত ,
আমার হাত তোমার জাত
এক জাত ! মিলাও হাত ৷
আমরা উভয়ে গরীব তাড়াই-
আশার পাতে দেই ছাই ,
মিথ্যা ছাড়া -সত্য নাই
ঘোষণারে ,করি না ভরপাই !


ছাড় শত্রুতা ?
হাত বাড়াও, করি মিত্রতা !
অরি মহাখুশী, আমিও হাসি ,
দু’জনে হাসি, রাশি-রাশি !
উদ্ধার পাই, খুশীতে মিশি !
আমি লেখা পড়ি কপালের-
গ্রাম কামদুনি, শীলাদিত্যের ,
এখানেও ঘটে, তাই !
অরিকে যখন দেখিতে পাই
ঐ সময় হাব-ভাব বুঝে যাই ।


আমাকে সে খুব চায় ,
বিরোধী বিল, যা’তে পাস হয়
শীঘ্র পার্লামেন্টে ;
আমি বুঝি কথাটা অন্তে !
বুঝি তাঁকে-সমর্থন দেবার
তাঁরও অতি মোরে দরকার-
আমি সেই মতে আছি
মান-সম্মানে তো বাঁচি ?
                       ক্রমশঃ