ধারাবাহিক কাব্য, "ভাবনা", তার অংশ- পর্ব সংখ্যা- ৩০-ক ,- (২০১৫-মার্চ-এপ্রিল) ।


উপসংহার-৩০-ক


লিখি ,আপদ ভরা সমাচার
দৃশ্য হেরি ভয়াবহ অপার ,
কূলকিনারা খুঁজে পাই না
আগে বিপদ , তা’ও জানা ।
যদিও নেই বিপদে- রক্ষক
তবু আছে কিছু তাপশোক ।
ব্যথার কারণে লিখি কলমে
প্রলেপ ধরাই কথার মলমে ,
ইচ্ছে রাখি ভালোর পূজন
অহরহঃ তাই সে আরাধন ।


কর্ম মাঝে আছে জ্বালা
সে জ্বালা প্রবল মেলা ,
মহামতি গোখলে
স্বাধীনতার পশ্চাৎ কালে
কংগ্রেস সভাপতি ,
সভায় না নিয়ে বিরতি ;
বলেন ,“শোন হে দেশবাসী
আজ বাংলা যা’ চিন্তা করে
মুক্তি-স্বাধীনতার তরে -
এই সারা বঙ্গবাসী , -
তা’, চিন্তা করিবে কাল -
সমগ্র ভারতবাসী আসি ।”


আমি থাকি বহু দূরে
বুক যায় জ্বলে-পুড়ে
এ দুর্দিনে, আজ যদি
এমত একুশে সদী
গোখলে বেঁচে থাকতেন
কী বাণী পুনঃ শোনাতেন ?
সেই মহান আই, সি, এস,
ব্যাখ্যায় অধুনা বাংলা প্রদেশ ।
সেই গোপাল কৃষ্ণের বিচার
শুনিতাম কী আবার ?
এ জন্য দায়ী কে ?
বুঝুক ভাল করে সে ।


সেই সিদ্ধার্থরায়ের আমলে
যে কোন ঘটনার ছলে
কথার উপমার বলে ;
ভিন্ প্রদেশীরা ফেলিত ছুলে ।
তারা বলিতো অযথা
তিনটি বিশেষ কু-তর্ক কথা ,
বুকে লাগিতো ভীষণ ব্যথা !
বাঙালী ভুখা ,ভীরু, ঝগড়াটে,
চৌত্রিশ বছর গেছিল তা’মিটে ,
কথাটা আর শুনিতাম না
তারা বলিতেও যেতো না ৷
বুঝালে তারা বুঝিত ঠিকমত ,
বাংলাকে মানিত ,সেইমত ;
যদি বলি, বিষয়টি দেখ
যুক্তি-তর্ক ধরে বুঝতে শেখ ৷
                       ক্রমশঃ
*-(G. K . Gokhale) গোপাল কৃষ্ণ গোখলে (০৯-০৫-১৮৬৬----১৯-০২-১৯১৫)-তিনি,- আই,সি,এস ,১৯০৫-এ কংগ্রেস সভাপতি হন ।