গোধূলীর অন্ধকার গিলে নেয় মুমূর্ষু রোদ
খুলে যায় রাত্রির বয়াম
কবিতা ঘুমিয়ে থাকে আমার পাশে
তোমাকে সতীন করতে চায়নি বলে
অস্তিস্বের শিরা কেটে চলে যায়
রক্ত-মাংসের মানবী
প্রাত্যহিক জীবনে যন্ত্রণার এন্টিবায়োটিক তুমি
চাঁদের গ্রীবা থেকে বেরিয়ে আসে আমার কলম
মধ্যরাতে ছাঁটে তোমার স্তন
তোমার প্রসব বেদনায়
ফুটে পৃথিবীর সকল ফুল
ভেঙে যায় রাত্রির ঘুম
নদীর বুকে সোনালী চর
পাখির ডানায় চড়ে নেমে আসে
নক্ষত্র আমার সিঁথানে
মধ্যাহ্ণে আমার মৌনতার খুনি তুমি
বিকেলে ছুটি পাওয়া রোদের সাথে
হাটি পাশাপাশি
এভাবেই চলে
আমাদের কলেমাবিহীন সংসার।