আমার ভাংগা কুলের দুয়ারে তাকিয়ে দেখি আবর্তিত আহূত।
চোখে তাহার শূণ্যের রেখা, নিরাভরণ হাত।
শবে তাহার শীর্ণবসন, ভুখেভরা উদর।
জটাধরা চুল আর প্রসন্নতা ভরা অধর।
প্রথম পলকে আমার মনে আধার নেমে আসে
মানুষটির তরে থরে থরে কষ্টযে বাসা বেঁধেছে।
হয়তো এখনো হয়নি তাহার বিগত দিনের আহার।
হয়তো কেউ বুলিয়ে দেয়নি স্নেহ মাখা আদর।


ঘরেতে তাহার আছেকি কেউ, অপেক্ষায়?
নিরবতা চির ধরিয়ে
মানুষটি তার হাতের পাত্র সম্মুখে উচু করে।
চাইল কিছু ইশারাতে।
জবান তোমার নেইকো বুঝি! আহারে।
মানুষটির সব কিছুতেই কষ্টের লেখা ছাপা।
মনটা আমার মোচরে যায় তাহার কষ্ট দেখে।
ব্যাকুল হয়ে কুলের ভিতর খুজে দেখি
কি দিয়ে আমি নিবৃত্তিব তাহার কষ্ট।


নিঃস্ব আমি,
এইটুকুই সাধ্য আমার দিলাম আজ তোমায়।
আহূত সে কিযে খুশি, পেয়ে অল্প কিছু।
হাত দিয়ে মোর গা বুলিয়ে, দুহাত উচু করে।
আকাশেতে ইশারাতে, খোদাকে দেয় বলে।
কি হাসি সে, কিযে মায়া আমাকে সে দিল।
চলে যাবার সময় তাকে জিজ্ঞাসিলাম
আমায় তুমি শিখিয়ে যাবে,
কেমন করে এমন হাসি আসে তোমার অধরে।