আর কতকাল তপস্যা শেষে
বলো, তোমায় পাবো
নীড়হারা পথিকের আর্ধভাঙা বাসরে।
মেঘের থেকে জল এনে
কতকাল দু’চোখ ভাসাবো,
তোমার বিরহের নিস্তব্ধ বিলাপে।
আমি বনপোড়া হরিণীর মতো ছুটি একাকি—
শহরের নির্জন অলিগলি, ফুতপাতে
কেবল তোমারি সন্ধানে।
খুঁজি আকাশের পানে চেয়ে,
লুকিয়ে আছে কিনা গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, ধূমকেতুর সাঝে!
হতাশ হয়ে যখন ফিরি এইপথ ধরে,
তখন ভাবি, হয়তো লুকিয়ে আছো মন্দিরের মৃন্ময়ী ঠাকুরে।
রোজ নিশিতে বিভোর নেশায় যখন তোমায় খুঁজি,
প্রদীপের আলোকে, কখনো পূর্ণিমার জোৎস্নায়
বেলাশেষে নিঝুম রাত্রিতে
আমি কেবল, আমারি দেখা পায়।