নির্জন সমুদ্রের তীরে বসে দেখেছি
বিরস বালুচরে আছড়ে পড়া ঢেউ,
সেদিনও দেখেছি আজও দেখছি
স্ফীত জল রাশির তরঙ্গ সৃষ্টির নিদর্শন।
কূলহীন সমুদ্রের বক্ষ চিড়ে জেগে ওঠা ক্লান্তিহীন ঢেউ
ইচ্ছা অনিচ্ছার সত্ত্বেও কেমন করে হয়ে যায় সৈকত মুখী।
এই ভাবেই প্রতিদিন আমাদের ভগ্নাংস জীবনের মৃত্যু হয়,
আমিও শুয়ে থাকি সময়ের সেই অযাচিত অপেক্ষায়।
তবুও পৃথিবীর রঙ্গ মঞ্চে একটু আশা আর ভরসায়
শৈশবের মৃত কফিনে লেখা রূপকথার গল্প নিয়ে
সম্পর্কের নথি ধরে একটু বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা করি মাত্র।
কিছু দিন আমার আমার অহংকারী শব্দের ভিড়ে গা ভাসায়
আর আগুনে পুড়ে ক্ষুধার অন্ন জোগাড়ে ব্যস্ত থাকি।
জীবন কে বহু বার উপলব্ধি করি মৃত্যুর খুব কাছে দাঁড়িয়ে,
শিখে যাই খড় কুটোর মতো ভেসে যাওয়া নদীতে সাঁতার কাটতে।
কিন্তু মৃত্যুতো অনিবার্য, তাই চলার পথে শুনতে পাই
সময়ে অসময়ে স্টেশন ছেড়ে চলে যাওয়া সহযাত্রীদের ট্রেনের শব্দ।
সমস্ত সত্ত্বা ছেড়ে একদিন সবাই আমরা
ইচ্ছা অনিচ্ছার চিঠি ছেড়ে যাব এই সুন্দর ধরনীর বুকে,
উত্তরীরা ইচ্ছা হলে হয়তোবা খুঁজে নেবে
সেই আমাদের ঠিকানা বিহীন ভালবাসার চিঠি!!