আজ সত্যি ভাবছি পরকীয়া টা কি?
এটা কি প্রেম নাকি প্রণয়?
এটা যদি বৈধ হয় তবে
কেন এটা গোপন আকর্ষন?


প্রেম যদি যন্ত্রণা হয়
সে যন্ত্রণা কেন নিরবে নিস্তব্ধে
সকলের অলক্ষ্যে নিষিদ্ধ সুখ হয়ে
লুকোচুরি লুকোছাপার মধ্যে আসে?


পরকীয়া যদি অপরাধ না হয়
তবে কেন নিষিদ্ধ গোপনে বেড়ে ওঠে?
জনসমক্ষে প্রাঞ্জল ভালোবাসার মতো বয়ে আসে না?
এ প্রেম কেন স্বাভাবিক প্রেমের মতো জয় গাথা হয় না?


কোনো সম্পর্ক তো অজান্তেই দানা বাঁধে বুকে
জনসমক্ষে অথবা গোপনে একাকীত্বের অবসানে,
যে জরায়ু একান্ত নারীর নিজের অঙ্গ
সেই অঙ্গের অধিকার কি পুরুষের হতে পারে?
নারীকে কি শুধু সন্তান উৎপাদনের মেশিন বানানো যেতে পারে?


যে প্রেম কোনো পরিস্থিতিতে ভালোবাসায় গড়ে ওঠে
সে প্রেম কি তবে কোন দিন নিষিদ্ধ হতে পারে?


ভালোবাসার আবেশে কোনো স্পর্শ, কোনো সহমত মিলন
কখনো সমাজের নিষিদ্ধ পরকীয়া হতে পারে?
পৃথিবীতে নিষ্পাপ শিশুর জন্ম কি কখনো নিষিদ্ধ হয়?
তবে পরকীয়ার ছলনায় মনোরঞ্জন টা অবশ্যই কাম্য নয়।


যে প্রেমের শান্তিতে সংসার ছাড়খাড় হয়ে যায়
যে প্রেমের গভীরতায় অভিশপ্ত হয়ে ওঠে পরিবার
যে প্রেমের নিশ্চিত পরিনতি হয়তো নিয়তি জানে,
যে প্রেমের কলঙ্ক গায়ে মেখে শুধু এগিয়ে চলে
সে প্রেম দুর্বার দুর্জয় - সর্বজন স্বীকার্য বাঞ্ছনীয়,
প্রেম কোনো পরিস্থিতিতে অপরাধ হতে পারে না।


অন্যের জীবনের সাথে তুলনা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি,
দাম্পত্য জীবন এই অভিব্যক্তির ব্যাতিক্রম নয়।
অতৃপ্ত আত্মা থেকেই জন্ম নেয় অপার চাহিদা
হয়তো সেখান থেকেই নতুন পথে পা বাড়ায়।
এক সূত্রে আবদ্ধ হয়েও দুজনের জীবনের গুরুত্ব আলাদা হলে
হঠাৎই বাঁধা পড়ে কোনো অবাঞ্ছিত সম্পর্কে।
জীবনের ভালোলাগা স্বাদ-আহ্লাদের নতুন দিশা নিয়ে আসে।
হয়তো মনের মানুষ টাকে খুঁজে পাওয়ার কারণে
মানুষের প্রকৃতি জাত স্বভাব চারিত অভ্যাস হল
নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি অমোঘ কৌতুহলী আকর্ষণ।
হয়তো নিষিদ্ধ বলেই নানা আখ্যায় আখ্যায়িত পরকীয়া।
এটা নাকি অসামাজিক, অনৈতিক, অধার্মিক, অবৈধ।
যে প্রেম শুধু ভাঙনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে
মানসিক ও শারীরিক ক্ষুধার তারনা যার মূল ভিত্তি।
মানবিক মূল্যায়নের দিক দিয়ে যেখানে জড়িত দুটি মন,
হয়তো সেই মনের বন্ধন কখনো অন্যায় বা অবৈধ নয়।
যে সম্পর্ক ক্রিস্টাল ক্লিয়ারের মতোই স্বচ্ছতা বহন করে
এক সম্পর্ক ভেঙে নতুন সম্পর্ক গড়তে আপত্তি কোথায়?


আমি ভালোবাসায় বিশ্বাসী এক জন সাধারণ মানুষ,
জানিনা ক্ষণিকের সুখের মোহে জীবনের সকল সুখ কি
এই পিপাসু পরকীয়া প্রেমে নির্ভর করে পাওয়া যায়?
নারীর অধিকার নিজ জরায়ুতে অবশ্যই থাকবে
তবে যদি বাঁধ ভেঙে শিকল কেটে বেড়িয়ে আসে নারী
এই পরকীয়ার লুকোচুরি খেলায় বেশি মত্ত হলে
হয়তো নারী আরও বেশি কোন ঠাসা হবে সমাজে।


ছোট থেকে অন্ধকারকে কালো বলেই জানতাম
তবে হঠাৎই কোনো বিধান জনসমক্ষে বলল
আরে অন্ধকার কালো নয় ওটা আদতে সাদা!!
এক মুহূর্তের জন্যও ভাবতে হবে এক হাতে তালি বাজে না,
তাই পরকীয়ায় বিবাহিত একজন পুরুষ একজন মহিলা লাগে।
তাই কারো ঘর পুড়লে অন্য দিকে কারো ঘর ভাঙতে থাকে।
জানা নেই যে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব কত দিন
মর্যাদা নেই, বাস্তব প্রেম নেই, যৌন সুখ নেই,
সত্যের কোনো স্থান নেই, ব্যক্তিগত সময় নেই,
মানসিক নির্ভরতা নেই, অধিকার নেই, সামাজিক স্বীকৃতি বৈধ হলেও সকলের অলক্ষ্যেই থাকবে,
এই রকম সম্পর্ক যেখানে শুধু নেই নেই হাহাকার
তথাপি কতদূর চলতে পারবে পরকীয়া অপরাধ নয়  জানা নেই।।