ভেবেছিলাম মনে মনে সব ইচ্ছে গুলো পূরণ করবো,
তাই যদি কোন ভালোবাসা আসে তাকে স্বজত্নে লালন করবো।
সেদিন রাতে সেটাই প্রথম উপলব্ধি করলাম,
আধো ঘুমের ঘোরে বুঝেছিলাম তোমার উপস্থিতি।
আমার কাঙ্ক্ষিত শূন্য হৃদয়ে পেয়েছি তোমার প্রথম স্পর্শ,
উথাল পাথাল হৃদয়ে বয়ে চলে উষ্ণ স্রোত,
শরীরের প্রতিটা লোমকুপে উত্থিত নব অঙ্কুরোদগম,
না পাওয়ার বেদনার একটা শান্ত উপশম।
চঞ্চল, অস্থির মনে একটা অজানা অনুভূতি,
তোমায় কাছে পাওয়া, তোমায় ছুঁতে চাওয়ার অনুভূতি।
দেহ মনের ভাঁজে ভাঁজে একটা অসম্ভব সুন্দর ভালোলাগা,
বোধহয় এটাই প্রেম, হয়তো এটাই সেই কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা।
প্রাণবন্ত সরস ঐন্দ্রজালিক অনুভূতিতে কেটে যায় নির্ঘুম রাত,
কোন কল্পনা নয় বরং শুদ্ধতার নিরিখে বাস্তবতার উপলব্ধি।
ক্রমাগত এই উপলব্ধি অনুরণিত হয় নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে,
এ যেন মেঘ মুক্ত ঝকঝকে আকাশ দেখার মুগ্ধতা।
কখন যেন এই অনুভূতিটাই সৃষ্টি করে কবিতার,
যে শব্দ গুলো ছন্দ বদ্ধ হয়ে সৃজন করত মনের ভাব,
আজ তারা এলোমেলো অস্থির,
শুনতে পেয়েছে ভালোবাসার চিৎকার।
কবির মুখে, মনে , মস্তিষ্কে তারা পেয়েছে তার স্পষ্ট চিহ্ন,
হয়তো সে কথা কখনও প্রেয়সীর হৃদয় ছুঁতে পারেনি,
তবু আমি কবি চেয়েছি এমনই একটা আন্তরিক ভালোবাসা।
আমি তো চেয়েছি একান্ত তারই ভালোবাসার কবি হতে,
সে যদি একবার এসে আমায় ডাকে,
সারাজীবন থাকবো তার সাথে।।