নিকষ  কালো  গভীর রাতে  ঘুম ভেঙে গেলে
স্বাধীনতা পায় আমার  মনের  স্মৃতি গুলো,
তখন শুনতে পাই অন্ধ প্যাঁচার ডাকের  সাথে
কিছু এলোমেলো বিক্ষিপ্ত কান ফাটা ঝিঁঝিঁর শব্দ।
হৃদয়ের সব ব্যথা ভুলে একটা দুটো চরণে
খসে পড়া ঝরাপাতার মতো স্তবকে স্তবকে তৈরী হয় কবিতা।
ভাবতে থাকি তোমার জন্য কবিতা, নাকি
কবিতার জন্য তুমি? কার জন্য কে?
মৌসুমী বাতাসে প্রেয়সীর নিষ্পলক চোখের দিকে তাকিয়ে
যদি ভুবন দেখা যায়!
তবে লোহিত সাগরের দ্বীপে নয়, মিশরের পিরামিডে নয়, কোনো রূপকথার দেশেও নয়,
এই গ্রাম বাংলায় সবুজ আউসের ক্ষেতে বসে
প্রেয়সীর হাতে হাত রেখে পাওয়া যায় প্রেম,
হ্যাঁ, আমি পেয়েছি পৃথিবীর ভিড়ে
সেই কোমল শান্ত স্নিগ্ধ ভালোবাসার ঘ্রাণ।
আনমনে আকাশে তারাদের সাথে হারিয়ে ফেলি
কবিতার সব ছন্দ রীতি।
নির্বিকারে গুনতে থাকি প্রহর,
হয়তো আরও আছে বাকি রাত পোহানোর।
কেনই বা রাতের প্রহরে বেড়ে ওঠে প্রেম?
কেনই বা রূপের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে প্রেয়সীর ছবি?
কেনই বা কলমের কালিতে কবিতার ছন্দে বর্ণিত হয় নারী?
কেনই বা  ভালোবাসার স্মৃতি বইতে থাকে মৃত্যু অব্দি?
কেনই বা কবির কবিতায় থেকে যায় একাকী রাত?
জানা নেই, জানা নেই আমার কেনর উত্তর, কেন?
শুধু এইটুকু জানি জীবনের সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতম
অনুভূতি তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ।
তাই, তুমি আছো মমতার বন্ধনে,
        তুমি আছো দুহিতার স্পন্দনে,
        তুমি আছো  প্রেমিকার চুম্বনে,
        তুমি আছো পতিতার ক্রন্দনে,
        তুমি আছো ভালোবাসার রাত্রি যাপনে,
        তুমি আছো সর্বত্র সর্বক্ষণে,
        তুমি আছো জীবনের অন্তিম লগ্নে।
জীবনের সব শুষ্কতা সতেজ করেতোলে ভালোবাসা,
তাই, ভালোবাসা জীবনে সব মানুষের হৃদয়ের চিরন্তন প্রত্যাশা।
"" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" "" ""
প্রকাশ : ০৯.০৬.২০১৯  ২.০৫ মি
              দেবীপুর, বর্ধমান