বছর ঘুরে দিনটি এল
প্রিয় জামাই ষষ্ঠী,
আষাঢ় এর গরমে হবে
সেই ভুঁড়ি ভোজ টি।
শ্যালিদের হাত পাখা
আর নেই দরকার,
শ্বশুর বাড়িতে এবার বসেছে
এসি ও ইটভাটার।
সব দোষ ভুলে জামাই
এসেছে এক রোজ,
শাশুড়ীও আজ তাই করেছে
দারুণ সাজ গোছ।
সকাল থেকে তাড়াহুড়ো
ব্যস্ত রান্না ঘরে তে,
ডাল তরকারি রান্না হবে
বিভিন্ন পদেতে।
ভাগার কাণ্ড যতই ঘটুক
টাটকা চাই খাশিটা,
বড় করে রাখা চায়
ভেটকি মাছের পেটিটা।
শোল মাছের ঝোলের সাথে
চিংড়ির মালাইকারী,
পদ্মার বড় ইলিশ চায়
হবে সরষে পাতুরী।
মনহরা ব্যঞ্জন এর গন্ধে
জল আসে জিভেতে,
সজন হারা যতই হোক
ভাইরাস করোনাতে।
প্রভাতে ষষ্ঠী পুজোর শেষে
ফোঁটা দেন কপালে,
শুরু হয় ভোজন পর্ব
জামাইয়ের দখলে।
ভাজা দিয়ে শুরু করে
চাটনি শেষ পাতেতে,
উদর ফুলে ফেঁপে ওঠে
সুস্বাদু খাওয়াতে।
বাড়িতে সবাই মেতেছে আনন্দে
চলছে দারুণ হইচই,
বিবিধ মিষ্টির সাথে থাকে
শেষ পাতে দই।
এভাবেই শেষ হয় আজকের
রসনা তৃপ্তি পর্ব,
মেয়ে যেমনি হোক জামাই যে
শাশুড়ির গর্ব।।