আজ অমল আলোয় ঘুম ভাঙতেই
তোমার কথাগুলো ভীষণ মনে পড়ছিল
আর হাসি পাচ্ছিল কেন জান?
সেদিনের সেই প্রশ্নটা স্মৃতির দ্বারে
কড়া নেড়ে বলছিল, আচ্ছা বলতে পারো
একজন প্রকৃত প্রেমিক হতে কি লাগে?
আমি নির্দিধায় বলেছিলাম ঠিক জানা নেই, তবে মনে হয়
ভীষণ সহজ সরল সাধারণ হওয়া দরকার।
তুমি বলেছিলে এই দেখো এভাবে নয় একটু পরিষ্কার করে বলবে?
আমি বলেছিলাম যার মনটা হবে আকাশের মতো উজ্জ্বল,
যেখানে থাকবে না কোন ভনীতা, থাকবে না কোন অবিশ্বাস।
তুমি মুচকি হেসে বললে তাই বুঝি? আর এর ভবিষ্যৎ কি?
আমি একটু হতবাক হয়ে উত্তর দিলাম এরতো কোন
ভবিষ্যৎ হয় না, শুধু থাকে অনাবিল অপেক্ষা আর যন্ত্রণা।
এখানে থাকে গাঢ় অন্ধকার থেকে হঠাৎই আলোর
পথ খুঁজে পেয়ে আবার চির অন্ধকারে মিশে যাওয়া।
মনে হয়, "আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে
          আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে,
          বিশ্বধাতার যজ্ঞ শালা আত্ম হোমের বহ্নি জ্বালা-
       জীবন যেন দিই আহুতি মুক্তি আশে।" নিগূঢ় স্বপ্নের মাঝে বৃষ্টি স্নাত একটা দিনের অপেক্ষা,
কিন্তু এই অপেক্ষার কোন শেষ নেই শুধু ভেঙে যায় স্বপ্নটা।
তুমি তখনও হাসছিলে আর ভাবছিলে আমি,
হ্যাঁ আমি ভীষণ ভীষণ বোকা, তাই না?
কবিরা বোধহয় এমনই বোকা হয়!
তাই তো তোমার কথায় আজ আমার হাসি পাই,
তুমি যে বলেছিলে প্রেম মানে স্বার্থ আর শরীর।
আমি হয়তো সেদিন সত্যি বোকা ছিলাম কিন্তু
তাতে কোন আক্ষেপ নেই কারণ প্রেম আমার কাছে পবিত্র
স্ফটিক জলের মতোই স্বচ্ছ, আর আমি সেই জলে
অবগাহনকারী একজন প্রকৃত প্রেমিক, তাইতো আজও
আনমনে বয়ে নিয়ে চলেছি সেই অজানা অনুভূতি টাকে।
সবুজ পাতার নীচে বসে ভিজতে থাকা ইচ্ছে গুলো পাখি হয়ে
আজও উড়ে বেড়ায় উন্মুক্ত আকাশের বুকে।
প্রেম তো অনন্ত, বিস্তীর্ণ আকাশে নিরাকার ঈশ্বরের মতো,
আর ঈশ্বরের চরণে ই তো চির শান্তি, চির আনন্দের উপলব্ধি।।