আমি এই পৃথিবীর বুকে নিজের ঘরে একাকী
সাথী বলতে আছে একটা অচেনা নৈসর্গিক কষ্ট।
যে আমাকে মাঝে মাঝেই গোপনে দহন করে।
আমার নীল হৃদয়টা অজানা জ্বরে বেঘোর,
পুরনো স্মৃতি গুলো নিয়ে অন্ধকারে গুংরাতে থাকে।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পোড়া দেহটা দেখি নির্বিকারে,
নিরুৎসাহে বিরূপ ঋতু গুলো শুধু অহরহ বদলে যায়।
বিষন্ন বিকেলে জলছবিটা থাকে মনের কোনে অটুট,
রংধনুটা বৃষ্টি শেষে খুঁজেদেয় অজানা কষ্টের ঠিকানা।
হয়তো কাটাকুটি খেলায় কিছু ভুল ভ্রান্তি ছিলো,
তাই তো রাত্রি গুলো পার হয়ে যায় দাঁতে দাঁত টিপে।
উদ্দেশ্যহীন শরতের মেঘটা ভিজিয়ে দিয়ে যায়,
বিপর্যস্ত বিছানায় শুয়ে শুধু ছায়া ধরতে থাকি।
প্রতারক চাঁদের জ্যোৎস্নাটা শুধু কলঙ্ক বয়ে বেড়ায়।
জীবন তটিনীর গতিপথটা আজ এলোমেলো দিকভ্রান্ত,
হৃদয়ের উন্মুক্ত ভাঙা জানালাটা বেদনার স্বপ্ন ঝড়ে রুগ্ন।
নিঃশ্বাসে মিশে যায় বিষাক্ত নিকোটিনের ধোঁয়ার গন্ধ,
হাতের বক্ররেখা গুলো চাপা থাকে রঙিন জলের গ্লাসে।
বিশ্বাস টা আজ অবিশ্বাসের ধুম্র জালে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধে,
হয়তো পঙ্গু মনে ব্যর্থ  জীবনের একটা কষ্ট নিয়েই থাকতে হবে।।