আজ দশ বাই দশ ঘরের চার দেয়ালের মাঝে আমরা বন্দী,
আর বাইরে? সেও একটা ছোট্ট বৃত্তের কেন্দ্রে বন্দী।
আমরা সামাজিক, নাগরিক হয়েও একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছি।
বন্দী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে ইচ্ছা অনিচ্ছায় খুঁজে নিচ্ছি সাময়িক শান্তি।
আমরা মুখে মুখোশ লাগিয়ে একে অপরের থেকে এড়িয়ে চলছি।
সব কিছুতেই আমাদের বেঁচে থাকা, সমাজকে বাঁচানোর ইচ্ছা।
এই বন্দীত্বের মাঝে কাছের অপরিচিত কে চেনা যায় ভালো করে,
এই অকস্মাৎ পরিস্থিতিতে সময় দ্বায়িত্ব নিতে শেখায় বেশি করে।
মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা অভিমান গুলো পুড়ে গেছে কবেই,
তবু বিবেক যুক্ত স্মৃতিতে অতীতকে মনে করিয়ে দিচ্ছে এখন।
এই বন্দী জীবনে ভীষণ ভাবে কিছু ইচ্ছে দানা বেঁধেছে মনে।
ভীষণ ইচ্ছে হয় রামধনু আঁকা বিস্তীর্ণ আকাশ দেখার।
ভীষণ ইচ্ছে হয় উঁচু পাহাড় থেকে ঝরে পড়া ঝর্ণা দেখার।
ভীষণ ইচ্ছে হয় আলো আঁধারী বনের ভিতর পাখির ডাক শোনার।
ভীষণ ইচ্ছে হয় সমুদ্রের নীল জল তরঙ্গে ভেসে বেড়ানোর।
ভীষণ ইচ্ছে হয় শ্বেত শুভ্র পর্বতের ফাঁক দিয়ে সূর্যোদয় দেখার।
ভীষণ ইচ্ছে হয় জ্যোৎস্না মাখা রাতে তোমায় ছুঁয়ে দেখার।
জানিনা এই অনিশ্চয়তার মাঝে আগামী ভোরের সূর্যটা দেখা হবে কিনা!
জানিনা এই শহরের নিস্তব্ধতা ভেঙে আবার যানজট হবে কিনা!
জানিনা নিয়মিত কাজ গুলো আবার নিয়মিত হবে কিনা!
শুধু জানি আমাদের চলছে ধৈর্যের পরীক্ষা, করতে হবে অপেক্ষা।
এই "অপেক্ষা" শব্দ টা আমার কাছে খুব পরিচিত একটা শব্দ,
এই শব্দ টা চোখেরবালি কে ভালোবাসর পরে বুঝেছি, উপলব্ধি করেছি।
"অপেক্ষা" হ্যাঁ একাকী অপেক্ষায় আমাদের একমাত্র বাঁচার উপায়।
নয়তো হতে হবে কালো হরফে লেখা কালের ইতিহাস।।