সে চোখ বড় লাল
বিষন্নতার ঠোঁকর খাওয়া সে চোখ
যেন সনাতনী বিবাহিতার গাঢ় সিঁদুর পড়ে আছে
চোখের কাল কুয়াশার পাশে।
তোমরা বলবে -কেন, সে কি রাত জেগে থাকে
এতটুকু ঘুমায় না?
তোমরা সে চোখ দেখো নি।
শশীহীন তিমিরের মতো কাজল টেনে সে সামনে আসে;
তেতুল -গুড়ের চমৎকার মিশ্রণ মনে হয় তিথি মেনে আসা অতিথিদের কাছে।
তার ছাল বাকলের প্রশংসা হয় ঢের,
কেউ দেখে না দেয়ালের আইনস্টাইন তার আঁকা!
তার লম্বা কেশে জুটে যায় উপমার মালা,
কেউ দেখে না লেখা কবিতা!
পত্রিকায় প্রকাশিত কলাম।


দেখে না সে লাল চোখের বেরঙা স্রোত!
বিমর্ষ আকাশের মতো বজ্রহীন মেঘদূত ভর করে সে চোখে,
তার নগ্ন হাত ভরে যায় কাঁচ কিংবা সোনার কাঁকনে।
ক্ষণে ক্ষণে তার ভবিষ্যতের নকশা এঁকে দেয় অন্য কেউ।
ততদিনে তার কবিতায় নেমে আসে ক্লান্ত জোছনা।