ফাল্গুনের দুপুর, চন্দ্রিমা উদ্যানে বসি
গভীর ভাবনায় আমি নিমগ্ন উদাসী,
হঠাৎ নারী কন্ঠ- "একটা মালা নিন, স্যার"
সমম্বিত ফিরে পেয়ে দেখি তাকিয়ে
মালা হাতে এক ষোড়শী দাড়িয়ে
দেহখানা তার রয়েছে নেতিয়ে
সুধালাম তাকে মুখপানে চেয়ে-
আমার-তো মালার প্রয়োজন নেই ।


সে কহিলো, "কেউ কি আসবে-না " ?
হায় ! আমি তাকে কি উত্তরিবো !
সুধালাম- এ মালার দাম কত ?
ষোড়শীর উত্তর ততোই দ্রুত-
"মালার দাম নির্দিষ্ট নেই স্যার,
যা দেবেন, তাই দাম মালার "।
পঞ্চাশ টাকা হাতে দিয়ে তাকে সুধালাম-
"লও পঞ্চাশ টাকা, এ-মালাটির দাম"।


টাকাসহ সন্মুখে বাড়ালো আলতা পরা পাও
আমি আবার তাকে সুধালাম- "একটু দাড়াও,
আসলে আমারতো এজগতে কেউ নেই,
এই মালাটি তোমাকে  দিলাম তাই"।
ষোড়শী কৌতুহলে রহিলো তাকিয়ে
দেহটি  তার পরেছে নেতিয়ে
লাল পেঁড়ে বাসন্তি রঙের শাড়ি
তন্বী দেহে জড়িয়েছে এক প্যাঁচে ।


.