পাঠশালায় তখনও আমার যাবার বয়স হয়নি,
সে-সময় যুদ্ধের কথা শুনতে ভালো লাগতো
তাই বাবা আমায় বিশ্বযুদ্ধের গল্প শুনাতো
মা সব সময় বাইবেলের গল্প বলতো।


সখ ছিলো ঘুড়ি উড়ানো ও মারবেল খেলা
বড়দা ঘুড়ি ৰানিয়ে দিতো,
বৌদি মারবেল কিনে দিতো
না দিলে বৌদির পিঠে আমার কিল পরতো।


মাঝে মাঝে বৌদির গাল ধরে বলতাম,
বৌদি, আমি তোমাকেই বিয়ে করবো,
বৌদির উত্তর : ঠিক আছে,
আগে বড় হয়ে নে, তারপর করিস।


রাতে  বড়দা-বৌদির মাঝখানে শুয়ে
ঘুমাতাম চার হাত-পা ছড়িয়ে।
বড়দা গাইগুই করলেও কাজ হতো না
বৌদির চোখ রাঙ্গানিতে।


মাঝে মাঝে ভোরে ঘুম ভেঙে গেলে দেখতাম,
বৌদি মাঝখানে, শুয়ে আছে দাদার পাশে,
দেহে এলোমেলো স্বল্প বসন, বুক তার উদোম।
আমি ঢেকে দিয়ে আবার মাঝখানে ঘুমাতাম।


বৌদি স্নান করতে যেতো পুকুর ঘাটে,
পারে বসে আমি তাকিয়ে তাকিয়ে বিস্ময়ে,
ভেজা কাপড়ে বৌদির ভেজা শরীরের
সব কিছু দেখতাম হা-করে অবাক বিস্ময়ে ।


বৌদি উঠে আমায় জিজ্ঞেস করতো-
এই, কি দেখছিলি হা-করে তাকিয়ে তাকিয়ে ?
বলতাম, তোমার সব কিছু দেখে ফেলেছি;
বৌদি আমার কান ধরে দিতো মুচরে।


আমি কাঁদতে কাঁদতে মার কাছে এসে
দাড়াতাম মায়ের আঁচল ধরে,  
মা জিজ্ঞেস করতো, কাঁদছিস কেন রে?
বৌদি আমাকে তখন নিয়ে যেতো তার ঘরে।


কোলে বসিয়ে বলতো "তুই আমার দাদা
বড় হলে তোকে আমার থেকেও
একটা সুন্দরী বৌ এনে দেবো"।
বলতাম- না, আমি তোমাকেই বিয়ে করবো।


বৌদি আমাকে ঠিক নয় মাস পরে
পাঠশালায় নিয়ে যায় কোলে করে  
ভর্তি করে দেয় নার্সারীতে
এবং বৌদিই নিয়ে আসে ছুটি হলে ।


একদিন বাবা-মার মৃত্যু হয় এক দুর্ঘটনায়
বৌদিরাও সবাই লন্ডনে চলে যায়,
তখন মামার সিদ্ধান্ত ও তত্ত্বাবধানে
আমার ঠাই হয় বোর্ডিং স্কুলে।