চৌদ্দ বছর ধরে আমি এই জীবনে
একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অধীনে
একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকরি করেছি,
সে ছিলো দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা  
মুখে তার স্বাধীনতা বিরোধী কথাবার্তা
তার কথায় প্রকাশ পায় স্পষ্টই
একাত্তরে সে স্বাধীনতা চায় নাই।


মাতৃভুমিকে মায়ের মত ভালবেসে
গেরিলা প্রশিক্ষণের পর অস্ত্র কাঁধে নিয়ে
মৃত্যু ও জীবনের সকল ঝুকি লয়ে
স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়া
একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও
অনিচ্ছায় আমাকে চাকরি করতে হয়
জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে
স্বাধীনতা বিরোধী এই দুর্নীতিবাজের অধীনে।


মুক্তিযোদ্ধা বলে সে আমাকে উপহাস করতো
সব সময় সে নিজে নিরাপদ দুরত্বে থাকতো
কিন্তু ঝুঁকির কাজে আমাকেই সামনে পাঠাতো
চৌদ্দ বছর ধরে, আমি এই নরাধমের মুখে
স্বাধীনতা স্বপক্ষের প্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে
বহু খারাপ কথা ও বাজে সমালোচনা শুনেছি।
আমি ছিলাম তখন খুব অসহায়
ছিলোনা আমার কোনো উপায়
তাই আমাকে এই দুর্নীতি পরায়ণের অধীনে
অনিচ্ছায় চাকরি করতে বাধ্য হতে হয়।


ধর্মের নামে সে পাকা ভন্ড, বাক্য তার সুমধুর
কুটিলতায় অধ্যাবসায়ী, ধুরন্দর চালাক চতুর
তাই বোঝা যায় না, শয়তান সে কতদুর,
তাকে ধরা খুব সহজ নয়
প্রায়ই কৌশলে সে রং বদলায়
সে জানে কি করে ভোল পাল্টাতে হয়
ভয় দেখিয়ে সবার বাক-স্বাধীনতা কেরে নেয়
মিথ্যা অভিযোগের ফাঁদে মামলায় ফাঁসায়,
এইসব অনাচার ও ভন্ডামি দেখতে দেখতে
আমার জীবনের চৌদ্দটি বছর কেটে যায়।


বেদনায় যখন আমি কিছু প্রতিবাদ শুরু করি
তখন কর্মস্থল হয়ে যায় আমার জন্য মৃত্যুপুরী,
সে আমাকে কুটকৌশলে ভয়ভীতি দেখায়
এবং অতীতের বহু ভালো কর্মীর ন্যায়
আমাকেও ইস্তফা দিতে বাধ্য করায়।
এখনও সেই ভন্ড মহানন্দে দিন কাটায়
এজন্য আমার কষ্ট হয়, আমি যে অসহায়।


.