গিয়েছিনু নিঝুম দীপে ভ্রমনপ্রেমী দলের সাথে
প্রেমীরা সব ফিরে গেলো নিজ নিজ সময়েতে
থেকে গেলাম আমি শুধু বাতাসীর মিনতিতে।
বাতাসীর বয়স তখন পনেরো কি ষোলো
আমার বয়স তখন উনিশ হয়েছিলো।

নিঝুম দীপের চঞ্চলা সহজ সরল বাতাসী
হলুদ বরণ কিশোরী শাড়ির রং আকাশী,
বাতাসীর একহারা গড়ন, মায়াময় চাহুনী
যেন নিঝুম দ্বীপের চঞ্চলা এক হরিনী,
এক প্যাচে শাড়িখানা জড়ানো তার দেহেতে
ঘুরে বেড়ায় এই কুমারী বেশী সময় বনেতে।


বাতাসির মাতা নেই, পিতার নাম তোরাব আলী
সুটকী মাছের ব্যবসা করে অল্প দুরে গড়ইখালী,
তাই স্বাধীন ভাবে বাতাসী নিঝুমদ্বীপের নির্জনে
দিনে রাতে আনন্দতে ঘুরে বেড়ায় আমার সনে।


কথা বলে বকবকিয়ে হাসি দেয় খিল-খিলিয়ে
জড়িয়ে ধরে বাহু দিয়ে পাখ পাখলীর বনে
আমার বয়স তখন উনিশ হয়েছিলো
আর বাতাসির বয়স পনেরো কি ষোলো।


এই ভাবে আনন্দতে তিনটি মাস কেটে গেলো
এবার আমার ফেরার সময় হলো।
বাতাসির পিতা এসেছেন ইঞ্জিন-বোট নিয়ে
আমি বসা বোটের মাঝে, বোট চলেছে এগিয়ে ।


তীরে দেখি তাকিয়ে বাতাসি আছে দাড়িয়ে
হাসি নাই মুখে, চোখের জলে ভাসে সে,
তার শাড়ির আঁচল দিয়ে তার চোখ মুছে
তার পিতা আমাকে নিয়ে,  চলেছে এগিযে।


আমার দিকে তাকিয়ে পিতা করুন ভাবে হেসে
বললেন, “বাবা, আবার এসে  ফাল্গুনের পুর্নিমাতে
বাতাসীর বিয়েতে অংশ নিয়ে দাওয়াতে
দোয়া করবেন বাতাসি ও জামাতাকে ”।


আমার কানে আকাশ থেকে গায়েবী স্বর এলো
ভ্রমর এলো ভ্রমর গেলো, বাতাসিতো রয়ে গেলো,
ভাবতে থাকি আমি তখন, তাকিয়ে নীল আকাশে
আমার জন্য কি বিধান, সৃস্টিকর্তার এজলাসে !


.