এই-কি সেই চন্দন গাছটি !
হায় বৃক্ষ ! আমার প্রিয় চন্দন বৃক্ষ !
কত বুড়িয়ে গেছো তুমি !
শরীরের বাকল শুকিয়ে গেছে।


কতকাল আমি দেখিনি তোমায়
কতকাল বসিনি তোমার ছায়ায়,
তোমার ছায়াতলে কৈশোর ও বাল্যকালে
কত নিশিরাত কেটেছে বসন্তকালে।


মনে আছে ওগো প্রিয় চন্দন বৃক্ষ!
বাল্যকাল ও কৈশোরে খুব ভোরে
তোমার ছায়াতলে  ঘুরে ঘুরে
আমি কত লাল চন্দন কুড়িয়েছি।


তোমার চরন তলে বসে বসে
লাল চন্দনের মালা গেঁথেছি,
তোমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে
আমি কত কবিতা লিখেছি।


তুমি সরস ছিলে এবং আমিও ছিলাম তরুণ
ভালবেসে তুমি মোরে করেছিলে বরণ,
তোমার পরশ এখনো বুকে আছে গেঁথে
তাইতো তোমার জন্য আছে মায়া লেগে।


এখন আমরা প্রৌঢ়, এবং যাবার সময়
মহাকালের গর্ভে তাইতো শীঘ্রই,
আমরা হারিয়ে যাবো উভয়েই
স্বাক্ষী হয়ে থাকবে না আর কেউই।


তারপর হয়তো এখানে লাগানো হবে একদিন
একটি রাঁধাচূড়া গাছ অথবা পলাশ বা সেগুন
নতুন প্রজন্ম জানবেই-না সেই দিন
তোমার-আমার স্মৃতি-বেদনার বীণ।


.