সুন্দর এ জীবনে খুব, খুউব হাসিবারে চাহি ;
হাসিয়া সুখে বাঁচিবার কোনও বিকল্প নাহি ।
দুঃখ তো জানি আবর্তিত হবে জীবন ঘিরিয়া,
দুঃখজয় বিনা শূণ্যহাতে তবু যাবোনা ফিরিয়া ।
আমি হাসিব, হাসাব; কাটাব সুখে আনন্দে;
অমূল্য জীবন যাবে কেন দুঃখের সনে দ্বন্দ্বে ?
কাননে কুসুমসম হাসিব, ছড়াব মধুপূর্ণ সৌরভ ;
হাসিতে হাসিতে ঝরিব, দিনান্তে তাহাই গৌরব ।
সুখ দিব সবারে--মালিনী, মধুপায়ী ও ভ্রমরে ;
চিহ্নটি রাখিয়া যাব বৃন্তে--যদি ফল তায় ধরে ।
হাসিতে হাসিতে ঝর্ণাসম টুটিব পাষাণ-প্রাচীর--
গিরি-কন্দর মুখরিত হবে সে হাস্যপ্রতিধ্বনির ।
শতসহস্র দুঃখমাঝে বহিছে যে আনন্দফল্গুধারা--
অমৃতসম তাহাই করিব পান, হব তায় দুঃখহারা ।
আনন্দকলধ্বনিতে বারবার আসে--তৃষিত তরঙ্গ ;
সুখহাস্যে আপ্লূত করিয়া রাখে আর্দ্র তটিনী-অঙ্গ।
দীপ্তিক্ষয়ের নিত্যযন্ত্রণা ত্যাজি’ শশধর হাসে সুমধুর ;
উদ্বেলিত ধরণীবক্ষে বাজায় জোয়ার-রাগিনীর সুর ।
সকল চিত্ত করিয়া যাব জয়, আপনি সুখেতে রহিয়া--
ক্ষুদ্র এই মম প্রার্থনাটুকু জীবনমধ্যে যেতেছি বহিয়া ।
হাসিব প্রভাতকিরণদৃপ্ত শিশিরবিন্দুসম তৃণের শিরে ;
হোক না তাহা ক্ষণিকের হাসি, নমি সেই হাসিটিরে ।