লভেছি জনম যেদিন মাগো তোমারি কোলে,
জেনেছি সেদিনই-- মৃত্যু আসিবে দিন তার হলে ।
হেসে খেলে ভালোবেসে তবু কাটাই এ জীবন--
বারে বারে সকলি জনমে কেটেছে যেমন ।
নানারূপে প্রতিটি জীবনে মাগো দিতেছ জীবনের স্বাদ--
আর বারম্বার তাই করিছ একই পরমাদ ।
জগতের দরবারে কেন তুমি এনে দাও মোরে,
আর বারম্বার কেন সঁপে দাও মৃত্যুর করে ?
মৃত্যুর ভয় করিনে মা মোটে,
প্রতিটি জীবন-প্রান্তে সে তো নিয়মেই জোটে ।
সে তো ভুজঙ্গ রূপে বিষদন্তের ছোবলে
টেনে দেবে যবনিকা জীবনের কোন না কোন পলে ।
ক্ষণিকের যন্ত্রনা সয়ে
ফিরিব আবার সেই যন্ত্রনারহিত মায়াবন্ধনহীন আলয়ে ।
হেথা পড়ে পড়ে কাঁদিবে তারা--
মোরে ভালোবেসেছিলো যারা ।
জানি যাবে না শোনা ক্রন্দনধ্বনি সে দূর অনন্ত থেকে--
হেথা, এক নবজীবনের ছবি ফের কে যেন দেবে এঁকে ।
তবে হেথা মিছে কেন আসা--
কেন বারম্বার স্নেহ-মায়া-ভালোবাসা ?
বন্ধ কি হয় না এ জীবন-মৃত্যুর খেলা ?
তা না হলে থামে না যে এ ক্রন্দনমেলা ।
যারে দিয়ে যাই ব্যাথা--, তারই ক্রন্দনশাপে
হয় তো বা জড়িয়ে পড়ি পুনর্জনমের পাপে ।
ওগো মোর প্রতিজনমের মাতা, ধরো না গর্ভে মোরে আর;
জীবনের স্বাদে বঞ্চিত হয়ে আপনি কাঁদি সেও ভালো--
তবু যেন না কাঁদাই অপরে বারম্বার ।