ঈশাণের কোণে এক কৃষ্ণকণা ক্ষুদ্র
ঘিরিল অম্বর, হল--কি বিপুল রুদ্র !
প্রচণ্ড গতিতে আজি দ্রুত ধাবমান--
নাইরে নাই, কোথাও নাই শূণ্যস্থান ।
তাণ্ডবে তাণ্ডবে সে যে প্রচণ্ড বিক্রমে
দেশে দেশান্তরে ভ্রমিয়া চলিছে ক্রমে ।
মৃত্যু, মৃত্যু—ওরে, অসংখ্য অগণনীয় ;
বিভ্রান্ত মানবজাতি--কি বা করনীয় ?
অস্পৃশ্য হতেছে কত আপনার জন ;
এ কি হেরি সন্দেহমুখর বাতাবরন !
বিপন্নজনে কেহ বুঝি চিনিতে নারে,
অমানবিকতার নমুনা চারিধারে ।
হায় হায় প্রকৃতির একি প্রতিশোধ !
কে করিবে দুর্বার মারীর গতিরোধ ?


তারি মাঝে সমুজ্জ্বল তুমি হে মহান--
সম্মুখে তব দানব অগ্নিলেলিহান,
মুহূর্তমধ্যেই সে করিতে পারে গ্রাস ;
অকুতোভয় তুমি, প্রাণেতে নাহি ত্রাস ।


মুমূর্ষু, আর্তজনের সেবা নিরন্তর
করিছ ক্লান্তিবিহীন, ঢালিয়া অন্তর ।
দেখিছ মহাকষ্ট, মৃত্যু নিয়ত কত !
তবুও অবিচল, আপন কর্মে রত ।
হাসিমুখে যারা ফিরিয়াছে নিজ ঘরে--
পুনর্জন্মলাভে তোমাদের তারা স্মরে ।
হে যথার্থ বীর, প্রতি জনমে আসিয়া
এই ধর্মে সবারে যেও ভালোবাসিয়া ।
হে স্থিরধৈর্য্য সৈনিক, লহগো প্রণাম ;
ইতিহাস, স্বর্ণাক্ষরে লিখো ওই নাম ।