হয়তো আর আসবো না কোনদিন মুছে নিতে নয়ন নীর
অঞ্চলে তোমার। হয়তো সন্ধ্যারাতে বিষন্ন দীপ জ্বলে জ্বলে
নিভে যাবে স্বাতী নক্ষতের প্রতীক্ষায়। সাথিহারা পথিকেরা
খুঁজে ফেরে মিছে সুখের আশ্রয় অনাদিকাল মৌন ব্যথায়।
হয়তো আর আসবো না আঁকা বাঁকা মেঠো পথে চরণচিহ্ন
ছুঁয়ে ছুঁয়ে। জন্মের ঘ্রাণ মুছে গেছে কোলাহল মুখর মগ্ন
নিবিড় রাতে ভাপানো শস্যের মৌতাতে মাতাল মাদল-তালে
কত জন্মের পাপে কত জন্ম নষ্ট হয়ে গেছে ভ্রষ্টা ইচ্ছায়।


তবুও ঈশান কোণে অশনি সংকেত ধরিত্রীর জঠরের
অতল অন্ধকারে  বেড়ে ওঠে প্রাণ গোপনে বিজয় উল্লাসে
হয়তো কেউ পায় স্পন্দন তার, কেউ দুহাত মেলে অবাক
বসে থাকে হয়তো জোড়া শাঁকের মাধুকরী মাঙ্গলিক গীতে।
এই সব অতিতুচ্ছ প্রানের নিবেদিত অতিক্ষুদ্র ভালোবাসা
আমাকে আর ভাসায় না লখীন্দরের মতো কলার মান্দাসে।