সকালে আবির রাঙা সূর্যটাকে দেখে
জেগেছিলো এই প্রথম বাঁচার স্বাদ।
দীন-ভিখারীর মতো একপাশে শুয়ে আছে শীর্ণ নদী
খরস্রতা হয়তো ছিলো একদিন
এখন বিগত-যৌবনা, মলিন বেশবাস।


ওপাশে নাম না জানা বিশল্য-করণী
বৃষ্টির স্পর্শে পাতার সমারোহ
অন্যপাশে চিরচেনা সেই লাঞ্ছিত ধরণী
দুস্বপ্ন-ঘুমে ঢোলে অহরহ
মাঝে জুইফুলের সাদা হাসি
সাদা ভাত আমি ভালবাসি
নির্লজ্জ্ তাই পাতার পোষাক পরে
মাটিতে শুয়ে মুখ লুকিয়ে।  


আমার নাভিকুণ্ড-এর চারপাশে পাক খেতে খেতে
উদাসী বাতাস শুষে নিয়েছে জন্মের ঘ্রাণ
পোষাকের পাতারা আমাকে নগ্ন করে গেয়েছে
বিভাবরী ঐক্যতান।


তারপর মাঝরাতে জেগে উঠে দুহাতে পেতেছি ফাঁদ
জ্যোত্‍স্নারা পড়েছে ধরা, দশ আঙ্গুলের ফাঁকে
গলে যেতে চায় সুখ রুপসী চাঁদ
আমি পৃথিবীকে স্তব্ধ করে কাঁপা ঠোঁটে সেই প্রথম অনুভব করি
নবপ্রানের উদঘোষ আর্তনাদ।