ভাবনা গুলো বড় এলোমেলো
উড়িয়ে নিয়ে যায় তোমাকে
হাজারটা বছর –
আঁটো-সাঁটো ভরা শরীর, সুখী গৃহকোণ
লালটিপ, শাঁখা-সিঁদুর, এয়োতির বন্ধন
তোমার এই নিজস্ব পরিচয়।


ভেসে ওঠে আয়নায় মাঝে মাঝে কার মুখ
পুরানো ডাইরীর পাতা ওল্টাও
একটানা বেজে চলে কলিং বেল
গুঁড়ি-শুঁড়ি মেরে শুয়ে থাকে বাল্যপ্রেম
হাতছানি দিয়ে ডাকে যতই তাড়াও
অলস বিকেল ।


ইচ্ছে গুলো ছেঁটে ছেঁটে তুমি বনসাই
স্বপ্নের সাথে অলীক সমঝোতা
সুখী-গৃহী অসুখী মনে বাসা বাঁধে ঘুনপোকা
কুরে কুরে খায় পূজাবার্ষিকী, বেনারসী শাড়ি।


দশভুজা, সর্বংস্বহা
তুমি মৌন মুখর, প্রতিবাদী ভাষা
  পারাবার কাণ্ডারী
চিরন্তন তুমি, সনাতন তুমি,
তুমি নিঃসঙ্গ একা বঙ্গ-নারী।