একটি ‘আহত অহং’ ডিনামাইট এর মতো
বুকে দাবরাচ্ছে সকাল থেকেই,
আমার চেহারায়ও ফুটে আছে সেই আহত ছবি,
যেখানেই যাচ্ছি,
সবাই কেমন যেনো ভয়ে ভয়ে তাকাচ্ছে,
রাস্তায় পুলিশও আটকে দিলো আমাকে চেকপোস্টে,
বিকট চিৎকার করে ‘নিরাপত্তা যন্ত্র’টিও বললো,
আজ ভয়নক কিছু বুকে নিয়ে ঘুরছি আমি,
তারপর তারা আমার অহং’টি জমা রেখে দিলো নিরাপত্তার অজুহাতে,
একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর আমাকে বললেন,
“দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে
আপনার জানা উচিত ছিলো,
লাইসেন্স বিহীন অহং বহন করা বে-আইনি,
যথাযত কাগজ দেখিয়ে আপনার অহং ফেরত নিবেন।”


মনোলীনা,
আজ তোমার বারান্দায় দাড়াবার কথা ছিলো আমার দেওয়া হলুদ শাড়ীটি পড়ে,
অথচ তুমি দিব্যি ভুলে গেলে,
আমি সেই সকাল থেকে গলির চায়ের দোকান থেকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে,
১৯ কাপ চা আর ১৯ টি সিগারেট নষ্ট করেছি,
আজ বন্ধুদের ডাকও উপেক্ষা করেছি,
আমার ভিতরে একটা অহং আর একটা অভিমান
যুদ্ধ করছে সকাল থেকেই,
অবশেষে জয়ী ‘আহত অহং’ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসলাম।


মনোলীনা,
তুমি  বারান্দায় হলুদ শাড়ী পড়ে দাড়াওনি বলে,
আজ কিন্তু আমার সব শেষ হয়ে যায়নি,
আমি দিন রাত্রি তোমার বারান্দার দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে থাকব!!,
এতো বেহায়া আমি এখোনো হয়ে যাইনি,
সেটা বড়ই অপমানের কাজ,
আমার আরো অনেক কাজ বাকী আছে,
তুমি যেদিন ডাকবে নিজ থেকে,
সেই’দিনই আমি পুলিশের কাছ থেকে না হয় অহং ফেরত নিবো  তোমাকে সাথে নিয়ে।


তার চেয়ে বন্ধুদের সাথে তাস খেলতে যাই,
তারাও অপেক্ষা করছে সকাল থেকেই,
“এই রিকশা যাবে,
উওর যাত্রাবাড়ী ওয়াসা গলি?”
————————
রশিদ হারুন
১৫/০৩/২০১৯