আমি আজ সব সত্য বলে দিবো,
দেখি কোন হারামজাদা আমাকে ঠেকায়,
কার কলিজায় জোর আছে আমাকে ঠেকানোর ,
পারলে সত্য ঠেকা।


আমি মতিঝিল ‘শাপলা চত্বরে’ মাইক লাগিয়ে,
আমজনতার সামনে দাঁড়িয়ে আজ সব সত্য বলবো,
এই শাপলা দেশের সংবিধানের শাপলা,
যাদের কলিজায় সত্য শুনার জোর আছে
তারাই আসবেন,
যারা ভয় পান দরজা বন্ধ করে পাছার কাপড় তুলে মুখ ঢাকুন।


গত কয়েক’দিন যাবত আকাশে আর চাঁদ দেখতে পাইনি
ক্ষিধা পেটে চাঁদ দেখলে একটু  আরাম পাই,
তখন খাবারের কষ্ট ভুলে কবিতার কথা মনে হয়,
ভেবেছিলাম অমাবস্যা চলছে,
আজ পত্রিকায় দেখি,
সেই চাঁদ নাকি ব্যাংকের লকারে বন্ধক রেখে
হাজার কোটি টাকা ঋন নিয়েছে দেশের বড় বড় সাহেব’রা।


আমি ভাত খাবো বলে একবার
এক হাজার টাকা ঋন চেয়েছিলাম,
আমার নাকি স্ট্যেটাস নাই,
তাই ঋন দেয় নাই,
আমাকে ব্যাংকের পুতুল অফিসার বলেছিলো,
আমার জীবন বন্ধক দিতে,
যখন জীবন’ই বন্ধক দিতে রাজী হলাম,
তখন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বললো,
“আমজনতার জীবনের কোনো দাম নাই,
ভাত খাবার জন্য ঋন দেওয়া যাবে না”
এখন শালারা গরীবের চাঁদ বন্ধক রেখে,
স্ট্যেটাস অলা সাহেব’দের হাজার কোটি টাকা ঋন দেয়,
সবাই বলেন,
“আকাশের চাঁদ বন্ধক,
চলবে না,
চলবে না।”
আগুন জ্বালিয়ে দিবো সব হারামী’র পাছাতে,
জোরে বলেন ,
জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।


আমি আজ ঈশ্বরের নামেই মামলা করে দিবো,
জীবন দিয়েছেন ভালো কথা ,
ক্ষিধা দিলেন কেনো?
ক্ষিধা দিলে সবাইকে সমান স্ট্যেটাস দিলেন না কেনো?


শালার ক্ষুধা,
তোর জন্যই আমার আজন্ম অপমান শরীরে লেগে গেছে,
কতোটুকু ক্ষিধা নিয়ে বেঁচে থাকা যায়,
আমি মরে গেলে টের পাবে বাংলাদেশ,
আমি মরে গেলে তখন ‘খবর’ হবে,
পত্রিকায় তখন ঠিকই লিখবে মরনের খবর,
কাটতি বাড়ানোর জন্য,
কি ভাবে কষ্টে বেঁচে আছি
এটা কোনো খবরই না?
সব শালা হারামী।


হারামী’রা চাঁদে’কে বন্ধক রাখেনি ব্যাংকে,
রেখেছে আমার বাংলাদেশ’র সংবিধান,


তাই একদিন ক্ষুদার্ত ‘আমজনতা’  সংবিধানের এই ‘শাপলা’ই রান্না করে খাবে,
বেকায়দায় ফেলে দিবে সব হারামীদের,
‘ঈশ্বর’
আপানি ও তৈরী থাকুন,
আপনার দরবারে একদিন আপনার নামেই মামলা করে দিবে আমজনতা।
———————————————
রশিদ হারুন
০১/০৯/২০১৮