বিকেল বেলা খোলা ছাদে একা শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখছিলাম ।
হঠাৎ কোথ্থেকে এক চড়ুই পাখি এসে বসলো পাশে!
খাবার খুঁজছে হয়তো,
আমি নির্জীব পড়ে ছিলাম সেই সময়।


চড়ুইটি একসময় আমার বুক বরাবর উঠে এলো,
তারপর এদিক ওদিক তাকিয়ে বুকে কয়েকবার ঠোঁকর দিলো খাবারের আশায়।
হঠাৎ মাথা উঁচু করে এক দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে তাকায়ি রইলো!
আমিও সেই একই ভাবে তাকিয়ে রইলাম চড়ুইটির চোখে চোখ রেখে।


আমরা কতোক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম পরস্পর দিকে জানিনা,
বোধহয় একজীবন পার হয়ে যাচ্ছিল আমার!
একসময় মনে হলো চড়ুইটি বিদ্রুপের হাসি দিলো আমাকে ।
ভুল দেখেছি নাতো!
পাখিতো হাসতে পারে না।


সেই বিদ্রুপের হাসি ঠোঁটে নিয়েই হঠাৎ করেই চড়ুইটি
আকাশে উড়তে উড়তে  শূন্যে মিলিয়ে গেলো
আমাকে একা ছাদে ফেলে।
সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত আমি সেই শূন্য বরাবরই তাকিয়ে ছিলাম।


আচমকা আমার বুক টের পেলো
চড়ুইটি আমার জীবনকে তার মতোই ভেবেছে,
আমার জীবনের মাঝে হয়তো তার জীবনই উঁকি দিয়ে দেখেছে।
মানুষের জীবনের মাঝে চড়ুই পাখির জীবন দেখে
বিদ্রুপের হাসি হেসেছে।


অনেকদিন হলো নিজের জীবনটাই দেখিনা।
তাইতো সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে ঘাড় ঘুরিয়ে
উকি মের শেষ বারের মতো
আরেকবার
সেই শূন্যের দিকেই তাকালাম যেখানে চড়ুইটি হারিয়ে গেছে,
যদি উকি মেরে নিজের জীবনটা আরেকবার দেখা যায়।
——————
র শি দ  হা রু ন
০১/০৮/২০২২