এখনো মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে কেউ যদি বলে,
‘বন্ধু ওঠ, চল ঘুরে আসি।’
আমি বিরক্ত না হয়ে
চোখেমুখে পানি দিয়ে তৈরি হয়ে যাই - একটুও দেরি করি না,
একবার জানতেও চাই না,
চেহারার দিকে তাকিয়েও দেখিনা-
কে?
কোথায় যাবো?
বাস বা ট্রেন কোনটা ‌অপেক্ষায় আছে,
নাকি উড়োজাহাজ ‌অথবা জলজাহাজ?
একটা কালো চামড়ার ব্যাগে কাপড় , টুথব্রাশ,পেস্ট,সেভিং রেজর আর প্রেসারের ওষুধ নিয়ে মুহূর্তেই রওনা দেই তার সাথে।
কবে ফিরবো আবার এই বিছানায়
তাও ঠিকমত জানাও হয় না,
জানতেও চাই না!


দেওয়ালে টানানো একটা পারিবারিক সাদাকালো ছবি ঝুলতে থাকে আমার ফেরার অপেক্ষায়
বাথরুমের নষ্ট কলটা থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়তেই থাকে,
বারান্দায় বহু বছরের পুরনো ছাতাটা অপেক্ষায় থাকে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য-
এই সব অপেক্ষা আমাকে কখনোই  আটকাতে পারে না।


আমার এই অভ্যাস থেকে বের হতে হবে বলে সবাই উপদেশ দেয়,
চিরদিন একই অভ্যাস কারো জন্যই নাকি ঠিক না,
আমাকে এখন বয়সের কথাও ভাবতে হবে!


চিরদিন কি?
ভাবতে গেলেই শুধু দাদির লাগানো কড়ই গাছটার কথা মনে পড়ে,
আমি যেন শুনতে পাই সেই গাছে বসা একটা উদাসী ঘুঘু পাখির ডাক।


চিরদিন কি?
যতদিন কেউ একজন মধ্যরাতেও ডেকে বলবে
‘বন্ধু ওঠ, চল ঘুরে আসি’
ততদিনই বেঁচে আছি,
ততোদিনই চিরদিন’।
—————
র শি দ  হা রু ন
০৭/০৪/২০২৩