যদি তুমি আমাকে কিছু ঘুম ধার দিতে আমি সংসারী হয়ে যেতাম।


অসংসারী মানুষের মতো আমি
প্রতিদিনই ঘুমের দোকান থেকে
জীর্ণমলিন আর রঙ ওঠা গণিকার  শরীরের মুখোশের মিথ্যা ঘুম ভাড়া করি।
প্রতি গভীর রাতে সেই মিথ্যা মুখোশের ঘুমেই
আমি আমার ‌অঘুমের দু’চোখ লুকাই।


সূর্য উঠার পরও মলিন ঘুমকে বৃথাই লুকিয়ে রাখতে যাই দু’চোখে।
সকাল হলেই চলে যায় আমার ভাড়া করা মিথ্যা ঘুম,
চলে যায় একেবারেই না বলে।
প্রতি রাতেই সেই একই ঘুমকে আবার নতুন করে ভাড়া করি ‌
অঘুমে হতাশ আমার দু’চোখের জন্য।


মনোলীনা,
যদি তুমি ঘুম ধার দাও আমাকে
তবে মিথ্যা ঘুমের দোকানের ঐ পথে আমি আর কখনোই যাবো না।
এক্ষুণি তোমার বাড়ির পথ ধরবো
স্বাস্থ্যবান রঙিন একটি সত্যি ঘুমের জন্য।


তোমার কাছ থেকে ধার করা এক বুক স্বাস্থ্যবান সত্যি ঘুমে আমি পুরোপুরি সংসারী হয়ে যাবো।


তোমার ঘুমের দিব্যি দিয়ে বলছি,
এই ঘুম আমি খরচ করবো খুব হিসাব করে।
তোমার  দেয়া অল্প ঘুমেই একটা রাজপ্রাসাদ হয়ে যাবে আমার অসংসারী জীবনে।
রাজপ্রাসাদের চারদিকে থাকবে বড়ো বড়ো খোলা জানালা,
বেহায়া বাতাস খেলবে সেখানে নিজের মতো করে।
ছোট্ট একটা পুকুর থাকবে,
জানালার পাশ দিয়ে থাকবে সারি সারি লেবুর গাছ পুকুরের কোল জুড়ে।


ঠিক তারপরই অসীম ধানক্ষেত কিনবো একটা।
ধানের সাথে একান্ত নিজস্ব কিছু স্বাস্থ্যবান ঘুম ফলাবো সেখানে।
আর তুমি সেই পাকা ধান আর স্বাস্থ্যবান ঘুমে মাখামাখি হবে দিনরাত।
আমি ধান আর ঘুমের কৃষক হয়ে যাবো তোমার জন্য
একজন আদিম গৃহস্থের মতো।


মনোলীনা,
দোকানের এই ভাড়া করা মিথ্যা ঘুমে
আমি দিন দিন চরম অসংসারী হয়ে যাচ্ছি।
সন্ন্যাস তীব্র শব্দে কড়া নাড়ে সারাদিন আমার ঘরের দরজায়।


মনোলীনা,
যদি তুমি স্বাস্থ্যবান কিছু ঘুম ধার দাও আমাকে,
আমি তোমার কর্মঠ পুরুষ হবো।
আমি সংসারী হবো,
পুরোপুরি সংসারী।
---------
র শি দ  হা রু ন
০৩/০৭/২০২১